মানসম্মত ইমারত পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করতে বললেন শিল্পমন্ত্রী

ঢেউটিনসহ ইমারত নির্মাণের প্রয়োজনীয় পণ্য সরাঞ্জমাদি উৎপাদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে গুণগতমানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, ইমারতের প্রয়োজনীয় পণ্য যদি নিন্মমানের হয়, তাহলে অবকাঠামো ধসে জানমালের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা থাকে। তাই জাতীয় স্বার্থে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে হবে। শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গুণগতমানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সজাগ থাকার প্রয়োজন।

রোববার নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইলে এ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির আরটিএফ প্ল্যান্টের উদ্বোধন উপলক্ষে কারখান প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগির গাজী (বীর প্রতিক), ফিনিক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ, এ্যাপোলো ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনসার আলী খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহমান খান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব শিল্প কারখানার মালিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শিল্পখাতে গুণগত পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। উদ্যোক্তারা এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছে। তিনি উদ্যোক্তারা এই প্রবনতা আরো জোরালো করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব স্টীল ও রড উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। স্টীল ও রড উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের গুণগতমানের ওপর পণ্য দু’টির মান নির্ভর করছে। তিনি বলেন, আমাদের রি-রোলিং মিলগুলোতে নিন্মমানের কাঁচামাল ব্যবহারের কথা শোনা যায়। এগুলো সত্য হলে, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘিœত হবে। তাই এই শিল্পের সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ্যাপোলো ইস্পাতের নতুন আরটিএফ প্ল্যান্টটি ২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। এতে প্রতিবছর ৭২ হাজার মেট্রিক টন টেউটিন উৎপাদন হবে। কম-বেশি ২০০ লোকের কর্মসংস্থান হবে। এতে বছরে সরকারের কোষাগারে ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব জমা পড়বে।
মন্ত্রী পরে এ্যাপোলো ইস্পাতের আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির আরটিএফ প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন।

আরএম/