মানহানির দুই মামলায় জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির দুই মামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।

২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে।’

খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদ সৃষ্টি করেছে- এমন অভিযোগ তুলে ওই বছরের ২১ অক্টোবর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে যে মানহানির মামলা হয়, তার বাদীও এ বি সিদ্দিকী।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ে কটূক্তি করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

দুই মামলাতেই গত বছরের ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন শাহবাগ থানা পুলিশ। দুই তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ২০ মার্চ গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপর তার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

আজকের বাজার/এমএইচ