মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা সম্মেলন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ১৯-২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ মেয়াদে বীমা কোম্পানীসমূহের জন্য আয়োজিত প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা সম্মেলন, ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে কক্সবাজারের লং বীচ হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর সদস্য জনাব গকুল চাঁদ দাস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর উপপ্রধান জনাব মোঃ ইস্কান্দার মিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে কার্যরত ৭৮টি বীমা কোম্পানীর প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর নির্বাহী পরিচালক জনাব খলিল আহমেদ বলেন, আর্থিক খাতের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং প্রতিশ্রুতিশীল সেক্টর হিসেবে বীমা খাত যেন মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মাধ্যমে কলুষিত হতে না পারে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নকে একটি সার্বজনীন সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বীমা কোম্পানীসমূহকে তা প্রতিরোধে আরও বেশী সক্রিয় হতে এবং পণ্য/সেবা ভেদে বীমা কোম্পানিগুলোকে নিজ নিজ ঝুঁকি নিরূপণ ও তা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে বীমা কোম্পানীর ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেন। বর্তমান সরকারের সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এবং এর সাথে বীমা খাতও অতি দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে উল্লেখ করে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মাধ্যম হিসেবে যেন বীমা খাত ব্যবহৃত না হতে পারে সে বিষয়ে আরও সচেষ্ট হতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বীমা কোম্পানীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা প্রদানের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে মর্মে অবহিত করেন। তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন অনুসারে বৈষম্যবিহীন এক আর্থিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বীমা খাতকেও এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি বীমা খাতকে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন হতে মুক্ত রাখা, এখাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উপর জোর দিয়ে এ খাতে কোনোরূপ সন্দেহজনক লেনদেন/কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি জোরদারকরণের পরামর্শ প্রদান করেন।