মানুষ সরকারকে কর দিচ্ছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন যে, মানুষ কর দিচ্ছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের মহাসড়ক হচ্ছে মানুষের দেয়া করের টাকায়। কর দেয়া মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।

আজ শনিবার মেহেরপুর পৌর টাউন হলে উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়, সার্কেল ২১ মেহেরপুর কর অঞ্চলের চারদিন ব্যাপি করমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, সরকার নারীদের জন্য বার্ষিক তিন লাখ টাকা, প্রতিবন্দ্বীদের জন্য চার লাখ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চার লাখ ২৫ হাজার টাকা বার্ষিক আয় হলেই তাকে কর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন যে, বিএনপি-জামায়াত সরকার বলতো দেশে গরীব না থাকলে সাহায্য পাব কি করে । কিন্তু বর্তমান সরকার সাহায্য নিতে চায় না। সেজন্য জনগণকে সার্বিক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে যাতে করে দেশে কোন লোক বেকার না থাকে। বেকার যুবকরা যাতে নিজের প্রচেষ্টায় স্বাবলম্বি হতে পারে সেজন্য মেহেরপুরে একটি উদ্যোক্তা মেলা করা হবে। জনগণ যাতে কর দিতে উৎসাহ পায় সেজন্য বর্তমান সরকার বিগত ১০ বছর ধরে জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে উৎসব মুখর পরিবেশে কর মেলার আয়োজন করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন যে, বর্তমানে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট করতে পেরেছে সরকারের সফলতার কারণে। ব্যাংকগুলোতে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা হয়েছে যাতে করে মানুষ স্বল্প সুদে লোন নিয়ে কর্মক্ষেত্র তৈরি করে স্বাবলম্বী হতে পারে। জনগণ যত স্বাবলম্বী হবে সরকারকে ততবেশি কর দিতে পারবে। এতে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে সরকারের কাজ সহজ হবে। যে দেশ যত বেশি কর দেয় সেই দেশ তত বেশি উন্নত।

খুলনা অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, মেহেরপুর জেলায় গতবারের তুলনায় কর দাতার সংখ্যা ১৫ শতাংশ বেড়েছে। তিনি আরও বলেন যে, গত অর্থবছরে করের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ কোটি টাকার। পাওয়া গিয়েছিল ১৬ কোটি টাকা। এবার কর লক্ষমাত্রা আছে ২০ কোটি টাকার।

আপীলাত রেঞ্জ-২ খুলনা অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মুঃ মুহিতুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল ও মেহেরপুর আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এস এম ইব্রাহিম শাহীন।তথ্য:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান