মারাই গেলেন নরসিংদীর দগ্ধ সেই কলেজছাত্রী

নরসিংদীতে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে ফুফাতো ভাইয়ের দেয়া আগুনে দগ্ধ কলেজছাত্রী ফুলন বর্মণ মারা গেছেন। বুধবার সকালে ঘটনার ১৩ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি শহীদুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ছাত্রী নরসিংদীর উদয়ন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ফলপ্রার্থী ছিলেন।

১৩ জুন রাতে কলেজছাত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। তার চিৎকার শুনে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুনে তার শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ।

ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় কলেজছাত্রীকে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে ২১ জুন রাতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এডিশনাল এসপি জাকির হাসান জানান, বৃহস্পতিবার নরসিংদী শহরের শিক্ষা চত্বর থেকে ফুফাতো ভাই ভবতোষের সহযোগী রাজু সূত্রধরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার পিংকীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে।

জবাবন্দিতে রাজু জানান, প্রতিবেশী সুখ লাল ও হিরা লালের সঙ্গে জমি নিয়ে ফুলনদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশেও মীমাংসা হয়নি। ১১ জুন ভবতোষ ও ফুলনের মায়ের সঙ্গে সুখ লালের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মামাতো বোনকে পুড়িয়ে হত্যা করে সুখ লালের পরিবারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে ভবতোষ। এ কাজে রাজু ও আরেক বন্ধু আনন্দ তাকে সহযোগিতা করে।

রাজু জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার রাতে ফুলনকে বাড়ির পাশের অন্ধকার গলিতে নিয়ে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরেন তিনি। আনন্দ ফুলনের মাথায় ও শরীরে কেরোসিন ঢালে, আগুন ধরিয়ে দেয় ভবতোষ। এরপর তিনজনই পালিয়ে যায়।

এডিশনাল এসপি জাকির হাসান জানান, ঘটনার পর সন্দেহভাজন ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আজকের বাজার/এমএইচ