মার্কিন সৈন্যদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক

ইরাকে থাকা মার্কিন সৈন্যদের ভবিষ্যৎ নিয়ে জুনে দেশটির সাথে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের পার্লামেন্ট ইতোমধ্যে এসব সৈন্য প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও মঙ্গলবার এ কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে ইরাক পরিবর্তিত যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাগদাদে থাকা ৫,২০০ আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমনকি তিনি বাগদাদ পরবর্তী কোন পদক্ষেপ নিলে অবরোধ আরোপেরও হুমকি দেন।
সৈন্যদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের আভাস না দিয়ে পম্পেও বলেন, ইরাকের সাথে মধ্যজুনের কৌশলগত বৈঠকে সেনা উপস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হবে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমাদের দুদেশের কৌশলগত সব বিষয় আলোচনায় স্থান পাবে। এরমধ্যে সেনা উপস্থিতির বিষয়ও রয়েছে। এছাড়া সার্বভৌম ইরাককে কীভাবে আরো সহায়তা দেয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে।
বৈঠকে যক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতত্ব দেবেন পররাষ্ট্র দপ্তরের অভিজ্ঞ কূটনীতিক ডেভিড হালে।
জানুয়ারিতে বাগদাদ বিমান বন্দরে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরাক সরকার খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এরপর থেকে ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের দাবী জোরদার হয়ে ওঠে।
মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড সম্প্রতি হামলার ঝুঁকিতে থাকায় ইরাকের ছোট ছোট ঘাঁটি থেকে সৈন্যদের সরিয়ে আনে। তবে মার্কিন সরকার হামলার কথা না বলে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছিল।