মায়ানমার থেকে চাল আমদানির পক্ষে খাদ্যমন্ত্রীর যুক্তি

মায়ানমারে রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যে সে দেশ থেকে চাল আমদানি করে সংসদে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে খাদ্যমন্ত্রীকে।

‘মিয়ানমার আমাদের ওপর সংকট চাপিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় চাল আমাদানির জন্য আপনি সেখানে গিয়েছেন। এটা কতটা যৌক্তিক ছিলো। সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানের এমন প্রশ্নের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়েই চালের জন্য মিয়ানমার গিয়েছিলাম। একদিকে ট্রেড (ব্যবসা) চলবে, আরেকদিকে আজকে যে অবস্থা চলছে তার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতাও চলবে। এই নীতিতেই আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একথাই বলেছেন।

গত রোববার ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে পঞ্চগড়ের এমপি নাজমুল হক প্রধানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীর শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

নাজমুল হক প্রধান জানতে চান, দেশে দুর্যোগের কারণে চাল আমদানি করতে হয়। আরেকটি দুর্যোগ রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় চালের জন্য মিয়ানমার গেছেন। মন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন- মিয়ানমারের কাছে চাল আমদানির কারণে বিশেষ কোনো ছাড় পাওয়া যাবে কিনা?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে তিন প্রকার চালের চুক্তি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ১ লাখ ২০ হাজার টন চাল পাব। এর মধ্যে ১ লাখ টন সাদা চাল আর ২০ হাজার টন সিদ্ধ চাল। মিয়ানমার থেকে চাল আনার সবচেয়ে সুবিধা হলো এটা আমাদের কাছের রাষ্ট্র। সেখান থেকে আসতে আমাদের সময় লাগবে তিনদিন। দরদাম এখনও ফাইনাল না হলেও তুলনামূলক কম দাম পড়বে। ভিয়েতনাম থেকে চাল আনতে ১৫-২০ দিন সময় লাগে। মিয়ানমার থেকে চাল আনার সময় কম লাগায় দাম কম পড়বে। এজন্য আমরা মিয়ানমার গিয়েছিলাম।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, উচ্ছেদের মধ্যেই চাল আমদানির চুক্তি করতে মিয়ানমার যান খাদ্যমন্ত্রী। গত বুধবার খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যায়। এসময় নিজ খরচায় মন্ত্রীর স্ত্রীও সেখানে ভ্রমণ করেন।

আজকের বাজার: আরআর/ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭