মা হওয়ার পর মরতে বসেছিলেন সেরেনা

মা হওয়ার পরই প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বেলে ভন স্টকহসেন। সি-সেকশন ডেলিভারির পর চিকিৎসকরা তাঁকে সুস্থ বলে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেও হাত-পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ফিরে আসেন বেলে ভন। যন্ত্রণায় ঠোঁট নীল হয়ে গেলেও চিকিৎসকদের বুঝিয়েই উঠতে পারছিলেন না যে তিনি সুস্থ নন। যখন প্রায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসছে সেই অবস্থায় তাদের টনক নড়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

শুধু অ্যারিজোনার বেলে ভন নন। মা হওয়ার পর এই সমস্যায় ভোগেন অনেক মহিলাই। তাদের মধ্যে রয়েছেন কিংবদন্তি টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামসও। মেয়ের জন্মের পর পালমোনারি এম্বলিজম ও হেমাটোমায় প্রায় মারাই যাচ্ছিলেন সেরেনা। যদিও নিজের শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকায় চিকিত্সকদের বোঝাতে বেলে ভনের মতো অসুবিধায় পড়তে হয়নি সেরেনাকে। তিনি জানতেন ঠিক কোন চিকিৎসা তাঁর প্রয়োজন।

আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ান অ্যান্ড গায়নোকোলজিস্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট বারবারা লেভি বলেন, “চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা বিশেষজ্ঞদের উপর নির্ভর করতেই বেশি নিরাপদ বোধ করি। সকলেই সুস্থ হতে চায়। তাই শারীরিক সমস্যা হলেও চিকিৎসকরা যদি আমাদের সুস্থ বলেন সেটাই মেনে নিই। কিন্তু নিজেদের শরীর আমাদের থেকে বেশি কেউ চেনে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় দেড় ল মহিলা মা হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের অধিকাংশই সেরেনার মতো সচেতন নন।”

লেভির দাবি, কৃষ্ণাঙ্গ মায়েরা বেশি করে এই সমস্যার মুখে পড়েন। শুধু মা হওয়ার ক্ষেত্রে নয়, কৃষ্ণাঙ্গরা সার্বিক ভাবেই চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলেও মনে করেন তিনি। কিংবদন্তি তারকা না হলে হয়তো একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত সেরেনাকেও। আর তাই এই সমস্যা সম্পর্কে মহিলাদের সচেতন করতে ও চিকিত্সা ব্যবস্থা উন্নত করতে সেরেনার মতো মহিলাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করছেন লেভি।
সূত্র: আনন্দ বাজার
আজকের বাজার: ওএফ/ ২০ জানুয়ারি ২০১৮