মেসি বিহীন আর্জেন্টিনাকে পাত্তাই দিল না স্পেন

ইনজুরির কারণে টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও ছিলেন না লিওনেল মেসি। কিন্তু দলের প্রাণভোমরাকে ছাড়া অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে স্পেনের বিপক্ষে এমন ‘চোট’ পেতে হবে, সেটা বোধ হয় আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ভাবতেও পারেননি।

ইসকোর অনবদ্য এক হ্যাটট্রিকে স্পেনের কাছে যে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধাণে হেরেছে মেসির দল। শুধু কী তাই! আর্জেন্টিনার ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের বাজে এক রেকর্ড।

১৯৫৮ সালে সুইডেন বিশ্বকাপে প্রথমবার ১-৬ গোলে চেকোশ্লোভাকিয়ার কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। সেটাই ছিল আর্জেন্টিনার প্রথম ৫ গোলের ব্যবধানে হারের ঘটনা। ৫১ বছর পর ২০০৯ সালে আবারও ফিরে আসে ১-৬। এবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে ৬-১ গোলের ব্যবধানে হারায় পুঁচকে বলিভিয়া। এবারও সেই একই ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে হারালো স্পেন।

মঙ্গলবারের এই ম্যাচের পর ব্রাজিল-সমর্থকেরা আফসোস করতেই পারেন। অল্পের জন্য যে তাদের চিরশত্রুরা সাত গোল হজম করেনি। এসেনসিওর ক্রস থেকে করা রামোসের গোলটি যদি বাতিল না হতো, তাহলে ব্রাজিল-সমর্থকেরাও তো আর্জেন্টিনা সমর্থকদের ‘সেভেনআপ’ বিদ্রুপে ভাসিয়ে দিতে পারতেন। আর্জেন্টিনার কপাল ভালো বলতেই হবে।

স্পেনের বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচটি ভুলেই যেতে চাইবেন হাভিয়ের মাচেরানো। রক্ষণে তিনি ছিলেন যাচ্ছেতাই। অথচ এদিনই হাভিয়ের জেনেত্তির সমান ১৪২টি ম্যাচে দেশের জার্সি গায়ে নামলেন তিনি। মাচেরানোর নেতৃত্বাধীন রক্ষণ মঙ্গলবারের ম্যাচে আর্জেন্টিনার দুর্দশার জন্য দায়ী অনেকটাই।

এ ছাড়া এদিনের ম্যাচটি বড় কলঙ্ক হয়েই থাকবে আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে। ৬-১ গোলে হার দেশটির ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানেই হার। যদিও স্পেনের বিপক্ষে এই ম্যাচেই কেবল ৬-১ গোলে হারেনি আর্জেন্টিনা। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে চেকোশ্লোভাকিয়ার বিপক্ষে একবার আর ২০১০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বলিভিয়ার কাছে আরও একবার ৬-১ গোল হেরেছিল আর্জেন্টিনা।

এস/