মেহেরপুরে ৩৫ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা

মেহেরপুরের লিচু চাষিদের চোখে-মুখে এখন হাসির ঝিলিক। ডালে ডালে থোকা থোকা লিচুতে ভরে গেছে গাছ। স্থানীয় মোজাফ্ফর জাতের সঙ্গে বোম্বাই ও চায়না জাতের লিচুচাষ এবার মেহেরপুরে বেড়ে গেছে। এখন ভেতরে আটির উপরিভাগে শাঁস (মাংস) লাগার সময়। বলা যায় পরিপূর্ণ হওয়ার পথে লিচু।

আম-কাঁঠালের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় মেহেরপুর জেলায় দুই হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে লিচুচাষ আছে, যা থেকে ৩৫ কোটি টাকার কেনাবেচা হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ এবং লিচুচাষিরা।

গত কয়েক বছর একটানা খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে লিচুর ফলন বিপর্যয় ঘটে। বৃষ্টির অভাবে লিচু শুকিয়ে যায় এবং গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়ে। এতে লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চলতি বছরের প্রথম দিকে বৃষ্টির অভাব থাকলেও কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের পরামর্শ মতে বাগানে সেচ ও পোকাদমন পদ্ধতি ব্যবহার করার কারণে এবার লিচুতে কোন রোগ-বালায় ও পোকার আক্রমনের প্রভাব পড়েনি। তবে সম্প্রতি শিলাবৃষ্টিতে লিচুর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামের লিচু বাগান মালিক মফেজ উদ্দিন বলেন, এবছর আবহাওয়া লিচু চাষের অনুকূলে না থাকায় ভেবেছিলাম এবারও লিচু চাষে লোকসানে পড়ব। কিন্তু কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে বাগানে সেচ ও পোকা দমন পদ্ধতি ব্যবহার করায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ব্যাপক ফলন হয়েছে।

লিচু ব্যবসায়ী জয়নাল হোসেন বলেন, এবার চায়না ও বোম্বে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন এবার লিচুতে লাভবান হবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান জানান- মেহেরপুরের মাটির গুণেই লিচু, আম, কাঁঠালসহ সব ধরণের ফল সুস্বাদু। মেহেরপুরের লিচু বিদেশে চাহিদা আছে। রপ্তানী করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

আরএম/