মেহেরপুর বিআরটিএ-তে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৪৬৩ টাকার রাজস্ব আয়

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মেহেরপুর মোটরযান সার্কেল ২০১৯ সালে মোটরযান কর ও ফি হিসেবে রাজস্ব আদায় করেছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৪৬৩ টাকা। এ সময়ে ৫১৩১টি মোটরযান রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়।

নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকর হওয়ার কারণে গাড়ির চালকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য কাজের জন্য ছুটে আসছেন বিআরটিএ অফিসে। বর্তমানে প্রতি মাসে ৮ টি করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষায় ১৫০ থেকে ২০০ জন ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা দিচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিদিন এখানে ৩০ থেকে ৪০টি আবেদনের ফাইল জমা পড়ছে রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য। এ ছাড়া অন্যসব কাজের চাপ তো রয়েছে অফিসে। সব মিলিয়ে এ অফিসে ২জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে এখন প্রতিনিয়ত। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা তরিকুল ইসলাম নামের একজন বলেন- এখানে সেবার মান ভালো। তবে সহকারী পরিচালক না থাকায় আমাদের এখানে সমস্যা হচ্ছে।

বিআরটি এ মেহেরপুর জেলার মোটরযান পরিদর্শক সালাউদ্দিন প্রিন্স জানান- ২০১৯ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোটরযান কর ফি আদায় খাত থেকে ৪ কোটি ৭৯লাখ ৪৬৩ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। তার মধ্যে মালিকানা পরিবর্তন ৪৪টি, রেজিস্ট্রেশন প্রদান ৫ হাজার ১৩১, মোটর যানের ট্যাক্স টোকেন ইস্যু ৪ হাজার ৫৪২টি, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট, আরএফআইডি ট্যাগ সংযোজন রুট পারমিট, পেশাদার গাড়িচালককে লাইন্সেস প্রদানে উল্লেখিত পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়।

এ ব্যাপারে বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক সালাউদ্দিন প্রিন্স জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইন হওয়ার পর থেকে কাজের চাপ বেড়ে গেছে। সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। গ্রাহক সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ মানের সেবা দেয়ার জন্য।

তিনি আরো জানান, মেহেরপুর বিআরটিতে জনবল সঙ্কট রয়েছে, জনবল বৃদ্ধি হলে বিআরটিতে আরো সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি সম্ভব। সহকারি পরিচালককে চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুরের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান