মোবাইলের আইএমই চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

চট্টগ্রামে মোবাইল সেটের আইএমই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডিন্টিটি) নম্বর পাল্টানো চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. রফিক (৩৪) ওই মার্কেটের ন্যাশনাল মোবাইল টেকনোলজি’ নামে একটি দোকানের মালিক ও নুরুন্নবী লিটন (২৮) তার সহকারী।

বৃহস্পতিবার ০৪ মে রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার রেয়াজউদ্দিন বাজার সিডিএ মার্কেট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএফএম হুমায়ন কবির জানান, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল সেটের আইএমই নম্বর পাল্টানোর সাথে জড়িত। আগে থেকে খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে আইএমই নম্বর পাল্টানোর বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং সেগুলো ব্যবহারের সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে। এ কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও আইএমই পাল্টানোর জন্য দোকানে রাখা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪টি মোবাইল সেট ও চারটি ট্যাবও জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।বছর খানেক ধরে এ চক্রটি চট্টগ্রামে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা চুরি যাওয়া বিভিন্ন মোবাইল ফোন সেটের আইএমই নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি করে দেন।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন সেটের আইএমই নম্বর পাল্টানোর কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানান এই গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি যাওয়া সেটগুলো রেয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন মোবাইলের দোকানে এনে বিক্রি করা হয়। দোকানদাররা মূলত বিক্রির জন্য তাদের কাছ থেকে সেটগুলোর আইএমই নম্বর পাল্টে নেন।

তবে ‘পরিচিত ও নিকটজন’ ছাড়া অন্য কারো মোবাইল সেটের আইএমই পরিবর্তনের কাজ তারা করেন না বলেও পুলিশকে জানিয়েছে।

গ্রেফতারকৃত রফিক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, আই ফোন, নকিয়া ও এইচটিসি ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট ছাড়া অন্য সেটের আইএমই তারা পরিবর্তন করতে পারে।

সফটওয়ারের মাধ্যমে আইএমই নম্বরগুলো পাল্টানো হয় উল্লেখ করে তিনি পুলিশকে জানান, কমদামের একটি মোবাইল সেটের আইএমই পরিবর্তন করতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট আর দামি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন সেটের আইএমই পাল্টাতে ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।

পুলিশের দাবি, রফিক ও লিটন আইএমই পাল্টানোর কারিগরদের মধ্যে অন্যতম।

গ্রেফতারকৃত লিটন পুলিশকে জানান, সফটওয়ার ব্যবহারের পাশাপাশি সেটের ব্র্যান্ড অনুযায়ী তারা কিছু বিশেষ সিমসহ ‘দঙ্গল’ (বিশেষ ডিভাইস) ব্যবহার করে থাকেন। সে দঙ্গলগুলোর মাধ্যমে মূলত আইএমই পাল্টানোসহ বিভিন্ন কাজ করা হয়ে থাকে।

১৪ সংখ্যার একটি আইএমই নম্বর একই ব্র্যান্ডের একাধিক মোবাইল সেটে ব্যবহার করা যায় বলে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানায়।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৫ মে ২০১৭