ম্যানেজমেন্ট স্ট্রং করতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি অপরিহার্য

‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কিভাবে, কেন? এখানে তিনটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি শেয়ার বাজারের একজন বিনিয়োগকারী। আপনি ট্রেডার নন। আপনি কত পার্সেন্ট লাভ করতে চান। টাকা অন্য কোথাও রাখলে কত ভাগ লাভ হতো ? এবং শেয়ার কেনার সময় লাভ করতে হবে, বিক্রির সময় না। এগুলো হলো শেয়ার ব্যাবসার চিরাচরিত নিয়ম। যখন কোন ভালো একটা কোম্পানির শেয়ার কেউ কেনে না, বাজারে শেয়ার পড়ে থাকে, তখন সেই কোম্পানির প্রসপেক্ট দেখে আপনাকে শেয়ার কিনতে হবে। আর যখন সবাই কিনতে আসবেন তখনই কত ভাগ লাভ হলো এই বুঝে বিক্রি করতে হবে। এটা হলো পুঁজিবাজারের মূল বিষয়। তাহলে বুঝে শুনে শেয়ার কেনার সময়ই আপনাকে লাভ করতে হবে’ – ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেছেন এসব কথা। আজকের বাজার ও আজকের বাজার টেলিভিশন এবি টিভির সঙ্গে তাঁর আলাপনের সারাংশ তাঁরই ভাষায় প্রকাশ করা হলো।

পুুঁজিবাজারের ধারাবাহিকতার জন্য
একটা স্থায়ী ও ধারাবাহিক পুঁজিবাজারের জন্য অনেকগুলো বিষয় জড়িত থাকে। প্রথম বিষয় হলো প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকতে হবে। যাদের ভালো ডিভিডেন্ড পটভূমি আছে তাদের নিয়মিত ডিভিডেন্ট দিতে হবে। ইকোনমিক আউটলুকিংয়ের সঙ্গে যেসব কোম্পানির সংযোগ আছে তাদের বাজারে আসতে হবে। এই যেমন, বড় বড় সব সিমেন্ট কোম্পানি কিংবা বিভিন্ন সেক্টরের যেসব বড় কোম্পানি আছে তারা। এখানে যদি আপনি খেয়াল করেন, মাত্র কয়েকটি সিমেন্ট কোম্পানি পুঁজিবাজারে এনলিস্টেড। অথচ যারা কি না টপ ৫,৪,২ কিংবা ১-এ আছে, তারা তালিকাভুক্ত নয়। অন্যদিকে, রড কোম্পানিগুলোর মধ্যে শুধু বিএসআরএম ছাড়া অন্যগুলো কিন্ত এনলিস্টেড নয়। এটা একটা সেক্টরের কথা আমি বললাম। আরেকটা হলো ফার্মাসিউটিক্যালসসেক্টর। তাদের মধ্যে দেখেন ভালো ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে এনলিস্টেড নয়। এসব কোম্পানিকে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে কারণ এগুলো আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত, জাতির উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। এরকম কোম্পানিগুলো যদি মার্কেটে আসে পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরাও যদি আসেন তাহলে বাজারে সিকিউরিটি সাপ্লাই ভালো থাকে।

ভালো শেয়ার বাজারে আসছে না কেন?
বাজারে ভালো শেয়ারগুলো না আসার দুটো কারণ রয়েছে। এমন কোনো কোম্পানি বাজারে আসে, যারা একক মালিকানায় অনেকদিন ধরে চলছে। যার ব্যবস্থাপনায় অন্যরা অংশগ্রহণ করুক বা অন্যরা সরাসরি শেয়ার হোল্ডার হোক তারা তা গ্রহণ করতে চায় না। এ ছাড়া ডিউ ডিসক্লোজার ট্রান্সপারেন্সির মধ্যেও কিন্তু অনেকে আসতে চায় না। আমি সিমেন্ট সেক্টর নিয়ে স্টাডি করে দেখেছি যারা লিস্টেড কোম্পানি তারা যে পরিমাণ ট্যাক্স দেয় যদিও টপ ফাইভের মধ্যে কেউই নেই; আর যারা নন লিস্টেড তারা সেই পরিমাণ ট্যাক্স দেয় না। এর জন্য অনেক উদ্যোক্তা উইলিং না। আরেকটা যা দেখা যায় এখানে ইক্যুইটি কস্ট অব ফান্ডটা খুব হাই। যে ইনসেনটিভ আছে লিস্টেড কোম্পানির জন্য এটা খুবই কম। যে কোম্পানিটা লিস্টেড সে কিন্ত সেলে টপ না। তার ট্যাক্স বেশি সে পে করছে। আর যে ননলিস্টেড সে কম পে করছে ।

আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা যেহেতু কর্পোরেট দিকে স্ট্রং নন বা অন্যদের মাথায় এগুলো ধরবেও না। একটা কোম্পানি এনলিস্টেড হলে ২০০ ৪০০ ও ৫০০ বছর বা আজীবন থাকবে। তো উদ্যোক্তরা আসলে ওরকম চিন্তা করে না বা করতে চায় না । তারা নিজেরা নিজেরা কোম্পানি চালাতে চায়। সেখানে কর্পোরেট ধারণার ধারণার অভাবে অনেকে আসতে চায় না। বাজারে আসতে ইনসেনটিভ আছে, কস্ট অব ফান্ড আছে। আরেকটা ব্যাপার এখানে আছে, পুঁজিবাজারে আসাটাও তো সহজ প্রক্রিয়ায় সম্ভব নয়। আমাদের উদ্যোক্তা শ্রেণী বা শিল্পপতিদের দিকে যদি আমরা তাকাই, তাদের ব্যবসার আধেয় যদি বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখব তারা কিন্ত দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী না। উনারা যা ফিনানশিয়াল স্টেটমেন্ট মেনটেইন করেন, একাউন্টস ম্যানটেইন করেন, ওটাও ডিউ ডিলিংসের মধ্যে নেই। দেখা যাবে একটা কোম্পানির এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ আছে, অথচ তার ঋণ ২০০০ কোটি টাকা । তার ৩০০০ কোটি টাকা টার্নওভার। কিন্ত দেখা যাবে তার বুকস অব একাউন্টে এগুলোর তেমন কোনও রিফ্লেকশন নেই। অথচ তিনিই কিন্ত সব কিছুর মালিক। এখন যদি এগুলো তাকে লিস্টের মধ্যে নিয়ে আসতে হয়, অন্যকে পার্টনার করতে হয়, সেগুলোকে বিও একাউন্ট করে একাউন্টিং প্রমোশনে নিয়ে আসতে হয়। তাঁর পক্ষে সব কিছু পরিষ্কার করে পুঁজিবাজারে আসা টাফ। এ কারণে অনেকেই পুঁজিবাজারে আসতে চায় না।

পুঁজিবাজার বাড়াতে আর কী কী করা দরকার
এখানে নীতিমালা ব্যাপারটা আনতে হবে। সরকারের একটা নীতিমালা তৈরি করতে হবে। একটা প্রজেক্টকে ফাইন্যান্স করে তার আওতায় একটা নীতিমালা প্রস্তুত করা যায়। মানুষ ৫০ ভাগ পুঁজিবাজার থেকে নিতে পারবে বাকিটা নিজের। কিন্ত অবশ্যই লিস্টেড কোম্পানি হতে হবে। অন্যান্য দেশের ব্যাপারটা আমাদের দেশের মতো না। এখন আমরা যদি অন্য দেশকে ফলো করি তাহলে আমাদের অবশ্যই তাদের স্ট্যান্ডার্ড কিংবা মানের হতে হবে। আমাকে কাস্টমাইজ হতে হবে আমার ইকোনোমির সঙ্গে, আমার ক্যাপিটাল মার্কেটের সাঙ্গে।

আরেকটা বিষয় আছে, কোম্পানির টার্নওভারটাও দেখতে হবে। যার টার্নওভার ২০০, ৩০০ ছাড়িয়ে যায় তাহলে তাকেও তালিকার আওতায় আনতে হবে। এর মানে হলো আমি সাধারনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলাম। এই কোম্পানির সার্ভাইবেলের জন্য স্টেট যেমন তাকে ফেসিলিটেট করছে, জনগণও তাকে ফেসিলিটেট করছে বিভিন্নভাবে। কিছু স্টেক যদি জনগণকে দেয়া হয়। কিছু যিনি উদ্যোক্তা, যিনি কন্ট্রোলার বা চেয়ারম্যান তার কাছে থাকুক। তাহলে দুটো জিনিস হবে, ভোক্তাই হতেন শেয়ার হোল্ডার আর শেয়ার হোল্ডাররাই হতেন ভোক্তা। দুই নম্বর হলো এখানে ট্রান্সপারেন্সি, একাউন্টেবিলিটি আসলো। এখান থেকে সরকারও বেশি ট্যাক্স পাবে আর কোম্পানিগুলোও দীর্ঘমেয়াদে সাসটেইন করবে।

আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রির ব্যাকহেন্ডটা যদি দেখা যায়, তা হলে দেখা যাবে, এগুলোর কী-পরসন বা প্রধান হলেন একজন ব্যক্তি। যদি কোনো কারণে সেই কী-পার্সন মারা যান, দেখা যাবে যে ওনার প্রতিষ্ঠান আস্তে আস্তে ড্রপ বা ফল করছে। যদি এগুলো লিস্টেড থাকতো, এগুলোর ম্যানেজমেন্ট থাকতো, আরেকজন এসে এই ক্রান্তিকালে প্রতিষ্ঠানটি টেকওভার করতে পারতো। এই ইস্যুগুলো ইনকোর্পোরেশনের ব্যাপার আছে। যেমন এদেশে জহিরুল ইসলাম সাহেব ছিলেন, পাকিস্তানের ২২ পরিবারের মধ্যে এক পরিবার। কিন্ত এখন আর উনার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দেখা যায় না। অথচ ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা সবসময় উনার নাম শুনে আসছি। তিনি একজন শিল্পপতি ছিলেন। উনার প্রতিষ্ঠানগুলো যদি পুঁজিবাজারে লিস্টেড থাকতো, এগুলোর যদি প্রপার ম্যানেজমেন্ট থাকতো। তাহলে আজ এমন হতো না। তাহলে কি বোঝা গেল? সবার আগে ম্যানেজমেন্ট ঠিক রাখা দরকার। এর জন্য প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন। যদি ব্র্যাক ব্যাংক অথবা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দিকে তাকানো যায় দেখা যাবে,তাদের মালিকরা তো প্রতিদিন অফিসে আসেন না। তাদের প্রতিষ্ঠান কর্মচারিদের দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে তাই না? এ ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্সটা এনসিওর করা যায় কেবল যদি কোম্পানি পুঁজিবাজারে এনলিস্টেড থাকে ।

পুঁজিবাজারে আবার কি একটা ধস আসবে
না, আমি এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করি। ৯৬ বা ২০১০ এ পুঁজিবাজারে ধস হয়েছিল সত্যি কিন্ত এখনকার বাজারে আমরা এই আশংকা করি না। কারণ আমাদের যে মার্কেট তার ইল্ড হচ্ছে চার। এখানে দুটো স্কোপ রয়েছে একটা হলো ডিভিডেন্ট, অন্যটি ক্যাপিটাল গেইন। কোম্পানি যদি ভালো পারফর্ম করে, তাহলে ক্যাপিটাল গেইন করে। শেয়ারের মূল্য বাড়ে। আমাদের এখানে প্রতিটা কোম্পানি ভালো করছে। পটেনশিয়াল বেসিসে এর মূল্য নির্ধারণ হচ্ছে। এর ব্যতিক্রম তো আছেই। এর জন্য রেগুরেটরকে কমপ্লেইন করতে হবে এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে। খেয়াল করে দেখবেন আমাদের প্রতিটা ব্যাংকের ৪ ৫ ৭ ৮ ভাগ পর্যন্ত বিদেশিরা কিনে নিয়েছে। তারা দেখেছে যে মার্কেটে আমাদের ইল্ড আছে ৪। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে মার্কেট কখনও পড়ে না। দু’একদিন মার্কেট বন্ধ থাকতে পারে, হয়তো বিনিয়োগকারী কম বেশি থাকতে পারে। কিন্ত মার্কেট ক্র্যাশ করবে না। মার্কেট ক্র্যাশ করার একটা লেভেল আছে । ধরা যাক, একটা শেয়ার তার ফি ৫০ ৬০ ৪০ এর ক্রস করে গেছে, ডিভিডেন্ট ২ এর নিচে নেমে গেছে, তখন বুঝতে হবে সে শেয়ারগুলো রিস্ক বিয়ার করে। দু’একটা এমন থাকলেও সেটাকে আপনি মার্জিনে রাখতে পারবেন না।

খেয়াল করলে দেখা যাবে আমাদের এখানে কোন সমতার নীতি নেই। এর অর্থ এখানে যে ট্যাক্সেশনটা ফ্রেম করা হয় তা কালেকটিং বেসিসে পেমেন্ট করা হয়। অটো রেভিনিউ কালেক্ট করা যায়। উন্নত বিশ্বে এটা আছে, কিন্ত আমাদের দেশের অর্থনীতির সাথে এটা কাষ্টমাইজেন না। এখানে যে ব্যাপারটা আছে তা হলো আয় করে যার হাতে টাকা আসবে সেই ট্যাক্স দেবে। আমাদের এখান যে ব্যাপারটা থাকা উচিত তা হলো প্রাইমারী লেভেলে যে ট্যাক্সটা দেয়া হয়, তার ট্যাক্সটা হাই। প্রাইভেট কোম্পানিগুলো যে লিস্টেড হতে চায় না, এটা তার একটা মূল কারণ। তবে ডিভিডেন্টের ওপর যে ট্যাক্স রয়েছে তা কম করে হলেও ১০ ভাগ কমানো উচিত। তা হলে কোম্পানিগুলোর বাজারে আসতে সুবিধা হবে এবং স্বচ্ছতা থাকবে। অর্থনীতির স্থায়ীত্বের জন্য কোম্পনিগুলোকে লিস্টেড থাকতে হবে। তখন সেই কোম্পানি বুস্ট আপ হবে। কিন্ত লিস্টেড হলে প্রতিষ্ঠানও থাকতো আবার ডিভিডেন্টও পেত। সুতরাং তালিকাভুক্তি হলো সাসটেইনেবল ক্যাপিটেলের জন্য জরুরি। এটা অনেকে অনেকভাবে মনে করেন। একজন বিনিয়োগকারী তার টাকা নিয়ে কোথায় যাবে, হয় জমি কিনবে, নয় ব্যাংকে রাখবে, না হলে শেয়ার কিনবে। এর জন্য সব কোম্পানীগুলোকে একাউন্টেবিলিটির মধ্যে, মনিটরের মধ্যে, ট্রান্সপারেন্সির মধ্যে, কমপ্লায়েন্সের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। সুতরাং আপনি যদি দক্ষ প্রফেশনালকে পেট্রোনাইজ করতে চান, শিল্পায়নকে যদি একজন ব্যক্তির কাছে না রেখে লংটার্ম করতে চান; তাহলে আপনাকে অবশ্যই লিস্টেড করতে হবে এবং গুড কর্পোরেট গভর্ননেন্স এনশিউর করতে হবে।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কিভাবে, কেন
এখানে তিনটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
০১.আপনি শেয়ার বাজারের একজন বিনিয়োগকারী। আপনি ট্রেডার নন।
০২. আপনি কত পার্সেন্ট লাভ করতে চান। টাকা অন্য কোথাও রাখলে কত ভাগ লাভ হতো ?
০৩. শেয়ার কেনার সময় লাভ করতে হবে, বিক্রির সময় না। এগুলো হলো শেয়ার ব্যবসার চিরাচরিত নিয়ম। যখন কোন ভালো একটা কোম্পানির শেয়ার কেউ কেনে না, বাজারে শেয়ার পড়ে থাকে, সেই কোম্পানির প্রসপেক্ট দেখে আপনাকে শেয়ার কিনতে হবে। আর যখন সবাই কিনতে আসবেন, তখনই কত ভাগ লাভ হলো এই বুঝে বিক্রি করতে হবে। এটা হলো পুঁজিবাজারের মূল বিষয়। তাহলে বুঝে শুনে শেয়ার কেনার সময়ই আপনাকে লাভ করতে হবে।

আমরা সাধারণত কী করি, যখন দেখি যে কোনও কোম্পনির শেয়ার পরে যাচ্ছে বা কেউ কিনছে না তখন আমরা না কিনে, তখন যে কম্পানির শেয়ার মূল্য বাড়ছে তা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পরি। এটা ঠিক নয়। যার কারণে আমরা অনেকসময় বিপদে পড়ে যাই। আসলে কোম্পনির প্রসপেক্ট দেখে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। তা ছাড়া বিভিন্ন কম্পানির কয়েক বছরের রেকর্ড দেখেও আপনি বিবেচনায় রাখতে পারেন। না হলে ওই কোম্পানির কোন কর্মকর্তাকে বললে সে আপনাকে তার প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কী অবস্থায় আছে তা আপনাকে বুঝিয়ে বলবে। এই ব্যাপারগুলো আপনাকে স্বাভাবিক বুদ্ধি দিয়ে বুঝে নিতে হবে। তা হলে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কম থাকে।

আপনি যদি গবেষণার মাধ্যমে ৬ মাস পেছনে দেখেন তাহলে দেখবেন বাজরের ৫০ ভাগ কোম্পানি উন্নতি করেছে। বাজারে এসেই আপনাকে দেখতে হবে ডিভিডেন্ট কী আর এর গ্রো-আপ কী? সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কী পার্সন যিনি, তার স্বচ্ছতা, ট্রাস্ট ও একাউন্টিবিলিটি কী রকম। এ তিনটি বিষয় দেখেই আপনাকে এগোতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আমি বলবো, একজন বিনিয়োগকারীকে সবসময় তার পোর্টফোলিওতে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ টাকা খালি রাখতে হবে।

মোহাম্মদ আলী
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার
ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড

আজকের বাজার: আরআর/ ১৬ আগস্ট ২০১৭