ময়মনসিংহে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

ময়মনসিংহে নিখোঁজ কিশোর মেহেদী হাসান বাবুর (১৬) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাত ১ টার দিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজারের একটি গুদাম ঘরের মাটি খুঁড়ে বাবুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাবু ওই এলাকার প্রবাসী শাহজাহান মিয়া ছেলে। স্থানীয় পলাশীহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল সে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস জানান, এ ঘটনায় তুষার ও আলামিন নামে বাবুর দুই বন্ধুকে আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়।তুষার ও আলামিনের বাড়িও ফুলবাড়িয়া উপজেলায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার বর্ণনায় এসআই পরিমল বলেন, তুষার দীর্ঘদিন ধরে একটি মেয়েকে প্রেমের প্রস্তার দিয়ে আসছিল। তবে মেয়েটি রাজি না হওয়ায় তুষার তাকে ‘উত্ত্যক্ত’ করতে শুরু করে। পরে বিষয়টি বাবু জানতে পারলে সে তুষারকে বাধা দেয়।

“এর জেরে গত ৬ মার্চ দুপুরে বাবুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তুষার। পরে কেশরগঞ্জ বাজারের একটি গুদাম ঘরে নিয়ে আলামিনের সহায়তায় বাবুর ঘাড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে সে। পরে লাশ ওই ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুঁতে রাখে তারা।”

এসআই বলেন, এদিকে বাবুর নিখোঁজের ঘটনায় তার মা মিনারা খাতুন বাদী হয়ে তুষারের নামে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে তুষার ও আলামিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে।

বাবু হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তার বাবা। তিনি বলেন, “আমার ছেলে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। আল আমিন আর তুষার আমার স্বপ্নকে হত্যা করেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।”

আরজেড/রাজ