যশোরে বেহাল দশায় সরকারি হাঁস-মুরগির খামার

প্রায় ১৪ বছর ধরে অরক্ষিতভাবে চলছে যশোরের সরকারি হাঁস-মুরগির খামারটি। অফিসের সীমানা প্রাচীর ভাঙা, বছরের পর বছর ১৩টি শেড নষ্ট, ভাঙা প্রাচীর দিয়ে ছিনতাইকারী-নেশাখোররা অবাধ যাতায়াত করে। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শেডের জানালা দরজা প্রায়ই চুরি হচ্ছে। সব কিছু মিলে খামারটি বেহাল দশায়। প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা জানায়, সংস্কার ছাড়া এখানে মুরগি পালন বেশ ঝঁকিপূর্ণ। জীবনিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ায় গত আট বছরে কয়েক দফা সংস্কার প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হলেও তা ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে আছে।

জানা গেছে, যশোরসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৪৯ সালে শহরের শংকরপুর রেলগেটের পাশে নয় একর জমির ওপর এই সরকারি হাঁস মুরগি খামারটি নির্মিত হয়। শুরুতে উন্নত মানের যন্ত্রপাতি থাকলেও প্রাচীন ঐতিয্যবাহী খামারটি এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। সরকারি এ খামারটিতে বর্তমানে একটি হ্যাচারি আছে। যার মধ্যে আছে ৬টি ইনকিউবেটর। এর মধ্যে বিদেশি তিনটি ও দেশি ৩টি। দেশি তিনটি ইনকিউবেটর নষ্ট রয়েছে দীর্ঘ দিন। ২৩ শেডের মধ্যে এখন ১৩টি নষ্ট। ১০টি শেডে কোনো রকমে কাজ চলছে।

খামারের মধ্যকার রাস্তাগুলোও সংস্কার করতে হবে। ৮ বছর আগে সংস্কার প্রশ্নে একজন প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দুই কোটি টাকার একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তাবটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি। তারা আরও জানায়, মুরগি খামারে বিগত কয়েক বছরের অনিয়ম, দুর্নীতি তদন্ত ও খামার সংস্কার ইস্যুতে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টিম পরিদর্শনে আসলেও আর এ নিয়ে আর উচ্চবাচ্য হয়নি।

এব্যাপারে খামারের পোল্ট্রি ডেভলেপমেন্ট অফিসার রেফায়েত উল্লাহ বলেন, খামারটি অরক্ষিত। বেশির ভাগ অংশের প্রাচীর ভাঙা হওয়ায় চোর ছিনতাইকারী আর নেশাখোররা অবাধে ঢুকছে। এক যুগ আগে থেকেই খামারটি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। খামারটি নতুন করে ঢেলে সাজানোর ওপর জোর দিয়ে নতুন প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে। পরে আরও একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ আসেনি। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান