যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহী বিমানবন্দরের উন্নয়নে ৫৬৭ কোটি টাকা

দেশের অভ্যন্তরীণ তিনটি বিমানবন্দরের (যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহী) উন্নয়নে ৫৬৭ কোটি টাকার প্রকল্পসহ মোট চারটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভার চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এবং শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী/সচিবরা অংশ নেন।

সভা শেষে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আজকের সভায় তিনটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এক হাজার ৬৬৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’

প্রকল্পগুলোর ব্যায়ের টাকার মধ্যে সরকার দেবে এক হাজার ৫২৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ১৪৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

অনুমোদিত চারটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটি নতুন এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প বলেও জানান পরিকল্পনা বিভাগের সচিব।

আসাদুল ইসলাম জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহীর রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ’ প্রকল্প ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।এটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর রানওয়েগুলোতে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ডে লাইটিং সিস্টেমের আধুনিকায়ন, রানওয়ে সাইড-স্ট্রিপসসহ প্রতিটি বিমানবন্দরের জন্য আধুনিক আগুন নেভানোর গাড়ি সরবরাহ করা।

আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে যথাযথ লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন যাতে ফ্লাইটগুলো রাতেও অবতরণ করতে পারে।

এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রধানন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, রানওয়ে আধুনিকায়নের কাজ শেষ করে বিমানবন্দরগুলো লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো প্রতিষ্ঠার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ার পরে বিমানবন্দরগুলো ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের সাথে পর্যায়ক্রমে সঠিকভাবে আধুনিকায়ন করতে হবে।