যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বড় ধরনের কষ্ট’ দেওয়ার হুমকি উত্তর কোরিয়ার

জাতিসংঘের আরোপ করা নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। একই সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব উত্থাপনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই ‘বড় ধরনের কষ্ট’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে কিম জং উনের সরকার।

গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘ আয়োজিত এক সম্মেলনে পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রদূত হান তায়ে সং বলেন, উন্নতির প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হওয়া উত্তর কোরিয়ার পরমাণু উন্নয়ন কার্যক্রমের লাগাম টেনে ধরার আদিম খেলায় মত্ত যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সংঘাতের কারণে ধ্বংস হবে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবে যে ইতিহসি কখনও তা দেখেনি।

উল্লেখ, গেলো সোমবার উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের এটি প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠতম এবং বড় ধরনের পরমাণু পরীক্ষার পর জাতিসংঘ নতুন করে এই পদক্ষেপ নিল। কয়লা, সিসা এবং সামুদ্রিক খাবারের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে চীন ও রাশিয়া আগে অসম্মতি জানালেও পরে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সায় দিয়েছে।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার তেল রপ্তানিসহ নতুন করে আরও অবরোধ আরোপের প্রস্তাব করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রস্তাবও জাতিসংঘে পেশ করে দেশটি।

তারও আগে গত আগস্টেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদারে মার্কিন খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে সায় দেয়। যার ফলে দেশটির কয়লা এবং লোহা রপ্তানি খাত ১০০ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে।

বিভিন্ন অবরোধ আরোপ করেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা যায়নি। নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের আগে পিয়ংইয়ং একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বৃদ্ধি করা অব্যাহত রাখবে।

সেই ধারাবিকতায় গত জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়া দুইটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় এবং দাবী করে তাদের সেইসব ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।

আগস্ট মাসের শুরুর দিকে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন প্রয়োজন পড়লে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে।

তখন নিকি হ্যালি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম হলো প্রয়োজনমতো সেনাবাহিনী ব্যবহার। যদি আর কোনো উপায় না থাকে, তাহলে আমরা সেনাবাহিনী ব্যবহার করব।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭