যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় মায়ানমারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে!

যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি মায়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রোহিঙ্গা নিপীড়নের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির সরকার।

দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির মুখপাত্র বলেছেন, সেনাবাহিনীর উপর অবরোধ আরোপ হলে মিয়ানমারের অপরিণত বেসামরিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর শুধু ‘খারাপ’ পরিণতিই হবে।

গত বৃহস্পতিবার মায়ানমারের উপর ফের অবরোধ আরোপের প্রস্তাব করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা। ওই প্রস্তাব পাস হলে রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত মায়ানমারের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের উপর সুনির্দিষ্ট অবেরাধ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে এবং দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই প্রস্তাব ওঠার পরে সু চির মুখপাত্র জ হতেই বলেন, দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা দরকার। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ভ্রমণ ও ব্যবসা বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত মানুষদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এছাড়া আরও অনেক খারাপ পরিণতি আছে।

এদিকে আগামী ১৫ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সফরের বিষয়ে এই মুখপাত্র জানান, তার কাছে মায়ানমারের কর্মকর্তারা রাখাইনে সহিংসতা মোকাবেলায় সরকারের পদেক্ষপ তুলে ধরবেন। তিনি এখানে এলে আমরা কী করছি তা তুলে ধরব। আমরা তাকে বলতে পারি না, ওটা করবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল কী তাও আমরা জানি না।

যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে তোলা অবরোধর প্রস্তাবে যারা সমর্থন দিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাকেইন ও ডেমোক্রেট সিনেটর বেন কারডিনও রয়েছেন।

এছাড়া রোহিঙ্গাদের ওপর মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ‘জাতি নির্মূল অভিযান’ বলছে ট্রাম্প প্রশাসন।

তবে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসা মিয়ানমার বলছে, ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর সন্ত্রাসী হামলার জবাবেই সেখানে সেনাবাহিনী পাল্টা দমন অভিযান চালাচ্ছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৪ নভেম্বর ২০১৭