যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই রোহিঙ্গা কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো: শাহ ও আবদুর শুক্কুর।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, গত ২২ আগস্ট টেকনাফের হ্নীলার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জামিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।

ওসির দাবি, এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও দাবি করেন, এই ঘটনায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ তিন সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক ও নয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি।

প্রসঙ্গত, টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরায় বৃহস্পতিবার রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বড় ভাই ওসমান গণি অভিযোগ করেন, একদল রোহিঙ্গা তার ভাইকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

ওমর ফারুক খুনের ঘটনায় শুক্রবার শতাধিক বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা একটি রোহিঙ্গা শিবিরে হামলা চালিয়ে অস্থায়ী ঘরবাড়ি ও এনজিও অফিসগুলোতে ভাঙচুর করে। তারা টায়ার এবং প্লাস্টিকের বক্স জ্বালিয়ে টেকনাফ পৌরসভা থেকে লেদা পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে। রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদের বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা পরে অবরোধ তুলে নেয়।

আজকের বাজার/এমএইচ