যেমন কুকুর তেমন মুগুর: কাদের

বিএনপি শুধু খোয়াব দেখবে, আন্দোলন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে গিয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন পুরোপুরি নির্বাচনের আমেজে (মুডে)। দুটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে। মানে দুই বিভাগের ভোটাররা এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন। এরপরে আরো ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, সেমিফাইনাল চলছে (নির্বাচনের)—এখন আর আন্দোলনে কাজ হবে না।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোট সঙ্গী জাতীয় পার্টি। গতকাল রোববার রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘হাসিনার কথা ছাড়া এখন কিছু নড়ে না। একদলীয় শাসন চাই না, জনগণের শাসন চাই। দুঃশাসনের বেড়াজাল ভেঙে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবার সেই সুযোগ এসেছে।’ জাতীয় নির্বাচনে দলের আসন বাড়ানোর বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কে কত আসন পাবে, সেটি বৈঠকে আলাপ-আলোচনা হবে। এসব বিষয় প্রকাশ্যে না বলাই ভালো। জোটের শরিক বলে ইচ্ছা মতো আসন চাইবে, এটা হতে পারে না। যেখানে যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হওয়ার মতো থাকবেন, সেখানে অবশ্যই মনোনয়ন পাবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ জোটের সবার ক্ষেত্রে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী ছাড়া কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট থাকবে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোট হবে কিনা সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। বসাবসি শুরু হয়ে যাবে। জেতার মতো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। সরকার গঠনের সময় মন্ত্রী দেওয়া না দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেবেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

সম্প্রতি দেশের একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই আন্দোলনে যেই জড়িত হোক, যেমন কুকুর তেমন মুগুর।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার জনের একজন শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং অপর তিন জন ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী।

এ সময় তিনি রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থার চালচিত্র পরিদর্শন করেন। বলেন, আমাদের যে অর্জন তার সঙ্গে আমাদের পরিবহণ ব্যবস্থা অসামঞ্জস্য। এই জীর্ণ গাড়িগুলো আমাদের রিজার্ভ-জিডিপির সঙ্গে যায় না। বিদেশীরা দেশে এলে আমাদের লজ্জা্য় পড়তে হয়। এ বিষয়ে পরিবহন মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।

চলমান মোবাইল কোর্টে মোট ৪০টি মোটরযানের উপর মামলা দায়ের করে ভ্রাম্যমান আদালত এবং ৭২ হাজার নগদ টাকা আদায় করা হয়।

এস/