রাঙ্গামাটিতে মিষ্টি আলুর চাষ বেড়েছে

জেলার পাহাড়ে আখ চাষের জমিতে এ বছর আখের পাশাপশি সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি আলুর চাষ বেড়েছে।
পাহাড়ি পতিত জমিতে আখ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে সবজির চাষ করে প্রচুর লাভবান হয়েছেন চাষিরা। আখের পাশাপশি একই জমিতে সবজি আবাদে ভালো ফলন হওয়ায় পাহাড়ে আখ চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

পাহাড়ি মাটি কৃষি আবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১২ সাল থেকে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় কাজ শুরু করে। তামাককে নিরুৎসাহিত করে পাহাড়ি পতিত জমিতে আখ চাষে স্থানীয় চাষিদের উদ্ধুদ্ধ করছেন তারা।

এরই মধ্যে তামাকের পরিবর্তে আখ চাষে এগিয়ে এসেছেন অনেকে। চলতি বছর রাঙ্গামাটির সদর ও কাউখালী উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে।

এ সব জমিতে আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে চাষ হয়েছে মিষ্টি আলু, গাজর, শিমসহ ১৭টি সবজির। কাউখালীর বগাপাড়া গ্রামের কৃষাণী তাপসী চাকমা জানান, তার আখের জমিতে আখের পাশাপশি সাথী ফসলের মধ্যে অনেক বেশি ফলন হয়েছে মিষ্টি আলুর।

কাউখালীর সাক্রাছড়ির আখ চাষি পরিতোষ কার্বারী জানান, মিষ্টি আলু ফলন এতো বেশি হয়েছে যে আখ চাষিরা এবার ভালো লাভ পেয়েছে। মিষ্টি আলু বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে বলে তিনি জানান। আখের দুই সারির মধ্যবর্তী জমিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করায় এবার অন্য যে কোন ফসল থেকে মিষ্টি আলুর চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনিস্টিটিউট রাঙ্গামাটির বৈজ্ঞানিক সহকারী নিকসন চাকমা জানান, রাঙ্গামাটির সদর ও কাউখালী উপজেলায় ১৮ জাতের আখ চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে চুষে খাওয়া ও গুড় তৈরির আখের জাত রয়েছে।

তিনি জানান, তামাকের চেয়ে আখ চাষে লাভ বেশি। পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় ঠিক থাকে জমির উর্বরতাও। তাই আখ চাষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় পাহাড়ে তামাক চাষের আগ্রাসন কমতে শুরু করছে।
পাহাড়ের আখ চাষ ও তার সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন সবজির আবাদে বেড়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটিসহ অপর দুই পার্বত্য জেলার কৃষিতে বিরাট ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এমআর/