রাজনীতিতে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে সমাবেশ

যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের বিচারের দাবিতে আজ বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জোটের সহ সভাপতি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জোটের অন্যতম নেতা চিত্রনায়ক শাকিল খান, চিত্রনায়িকা শাহনুর ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে যারা যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছেন, নাগরিকত্ব প্রদান করেছেন, প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী, সংসদ সদস্য বানিয়েছেন তাদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার হওয়া প্রয়োজন।

তারা বলেন, কারণ যে অন্যায় করে সে যেমন অপরাধী, তেমনি অন্যায়কারীদের যারা লালন-পালন করে তারাও অপরাধী। অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হানি করেছে যারা তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের সাথে ওরা বেঈমানি করেছে। ওরা বাংলাদেশের শত্রু। তারা বলেন, এদের যদি বিচার করা না হয় শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না। জাতিও কলঙ্কমুক্ত হবে না। বিজয়ের মাসে আমাদের সরকারের প্রতি দাবি তাদের বিচার দ্রুত শুরু করতে হবে।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের যারা রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিল তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

তারা আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার পুত্র তারেক রহমানের বিচারের দাবি করে বলেন যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে এরা সহযোগিতা করেছেন। জিয়াউর রহমান মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি পাকিস্তানের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

তারা আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া তারা মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। তারা পাকিস্তানী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী। এরা বিষাক্ত সাপের ন্যায়, যেকোন সময় ষড়যন্ত্র করতে পারে ও ছোবল মারতে পারে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান