রাসেল একবার কিছু শিখলে, আজীবন মনে রাখত: তার শিক্ষক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিনে স্মৃতি চারণ করতে যেয়ে তার শিক্ষক বলেছেন, ‘রাসেলকে আমি একবার কিছু শেখালে, সে আজীবনের জন্য তা মনে রাখত।’শনিবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওয়েব দল আয়োজিত এক ওয়েবিনারে রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এ কথা বলেন তার শিক্ষক গিতালী দাশগুপ্ত।

১৯৬৪ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ১০ বছরের ছোট রাসেলকেও হত্যা করে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য।  গীতালী বলেন, ‘তার কোমল মনের মধ্যে মেধা এবং চিন্তাশীলতার মিশ্রণ ছিল।’

‘আমার পরীক্ষা এগিয়ে আসায় আমি তাকে (শেখ রাসেল) না পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই শুনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমাকে বললেন, “৩০ মিনিট?” আমি বলেছিলাম, “৩০ মিনিটও নয়।” এরপর তিনি আবার বললেন, “২০ মিনিট?” আমি ‘হ্যাঁ’বলতে পারিনি। অবশেষে, তিনি কেবল ১৫ মিনিট পড়ানোর দাবি করলেন। একজন মা কেবল ১৫ মিনিটের জন্য তার সন্তানকে পড়ানোর কথা জিজ্ঞাসা করছেন, এই ভেবে পরে আমি আমার মন পরিবর্তন করেছিলাম,’ বলেন তিনি।

গিতালী দাশগুপ্ত আরও বলেন, ‘এরপর আমি আন্টির (বঙ্গমাতা) দিকে তাকিয়ে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘বাস কি এই পথে চলাচল করে? আমি কীভাবে যাতায়াত করব? সেই মুহুর্তে আমার মনে ছিল না যে আমি কার সাথে কথা বলছিলাম। তখন বঙ্গমাতা বললেন, ‘তাহলে কি তুমি পড়াচ্ছ? আমি তাহলে তোমার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করব।’রাসেলকে পড়ানোর বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে যা শিখিয়েছি, তা সে কখনও আর ভুলেনি।’

শেখ রাসেলের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আমি শিশুটিকে (শেখ রাসেল) স্বাধীনতার স্বপ্নের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করি। শৈশব থেকেই তার দেশপ্রেম ছিল, যা তার পরিবার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত।’