রিফাত হত্যাকাণ্ড: সংবাদ সম্মেলনে মিন্নি যা বললেন

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে শ্বশুরের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, শনিবার তার শ্বশুর দুলাল শরীফ সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা মনগড়া ও বানোয়াট।

তিনি বলেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের আড়াল করতেই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। শ্বশুরের সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমার শ্বশুর অসুস্থ; তিনি কখন কোথায় কী বলেন তার কোনো ঠিক নেই। তবে আমার মনে হচ্ছে, তাকে দিয়ে কোনো মহল স্বার্থ হাসিলে আমাকে জড়িয়ে মামলাটি হালকা করার চেষ্টা চলছে। যাতে আসামিরা ছাড়া পায়।

রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরও নয়নদের বাড়িতে যাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে মিন্নি বলেন, এটা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। আর নয়ন বন্ডের সঙ্গে আমার যে আগে বিয়ে হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে, সেটাও মিথ্যা। কারণ, নয়ন বন্ড আমাকে জোর করে ধরে একটি বাড়িতে নিয়ে একটা কাগজে সই রেখেছিল। এরপর কী করেছে সেটা জানি না। পরে শুনি সেটা বিয়ের কাবিননামা।

তিনি বলেন, আমার যদি নয়নের সঙ্গে বিয়েই হবে, তবে যখন রিফাতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তখন নয়ন কেন বাধা দেয়নি।

এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান শ্বশুর আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।

মিন্নি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মিন্নি প্রতিদিন একাই কলেজে যেত। ঘটনার দিনও একা গেছে। পরে ফোন করে রিফাতকে কলেজে ডেকে নেয় মিন্নি।

রিফাত শরীফের বাবা বলেন, মিন্নি ও তাঁর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি (বন্দুকযুদ্ধে নিহত) নয়ন বন্ডের সঙ্গে তাঁর আগের বিয়ের কথা গোপন করেন এবং নয়ন বন্ডকে তালাক না দিয়েই তাঁর ছেলেকে (রিফাত শরীফ) বিয়ে করেন। বিয়ের পরও মিন্নি নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এমনকি নিয়মিত নয়নদের বাসায় যেতেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। পরের দিন এই ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ