রিফাত হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বরগুনার হত্যাকাণ্ড নৃশংস ও মর্মান্তিক ঘটনা। মিডিয়াতে যা শুনেছি, এটি অনেকটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক, প্রেম ঘটিত ঘটনা, যা খুবই নগ্নভাবে ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, দোষীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার জন্য। এ ব্যাপারে পুলিশও কঠোর অবস্থানে আছে।’

দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘বরগুনার হত্যাকাণ্ড একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটি কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়। সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলা যাবে না।’

দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক কোন কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নেই। বিরোধী দল বিএনপি এমন কোন কিছু দেখাতে পারেনি যে দেশে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয়েছে। তারা (বিএনপি) নিজেরা নিজেরাই পার্টি অফিসে তালা দিচ্ছে।’

বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেক অপরাধীর ছাড়া পাওয়ার বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বজিতের ঘটনার বিচার হয়েছে। অনেকের ফাঁসি, যাবজ্জীবনসহ সাজা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মীরও বিচার হয়েছে। তাই এসব অপরাধে সরকারের নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই।’

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কয়েকজন যুবক বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা-লবনগোলা এলাকার বাসিন্দা রিফাতকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। বিকেল চারটার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।

নৃশংস এই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাতকে বাঁচানোর জন্য তার স্ত্রী চিৎকার করলেও আশপাশের কেউ এগিয়ে আসেনি। হামলাকারীরা রিফাতকে রক্তাক্ত করে সবার সামনে দিয়েই চলে যায়।

এ ঘটনায় রিফাত বাবা বৃহস্পতিবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সকাল ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে চন্দন নামে অভিযুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজকের বাজার/এমএইচ