রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে দ. এশিয়ার আরও কিছু করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বিশ্ব নেতৃত্ব তথা দক্ষিণ এশিয়ার অংশীদারদের আরও কিছু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দক্ষিণ এশিয়া সমবায় পরিবেশ কর্মসূচির (এসএসিইপি) পরিচালনা পর্ষদের ১৫তম সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা বিশ্ব নেতৃত্বের দায়িত্ব, বিশেষত আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার অংশীদারদের, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতে আরও বেশি কিছু করা দরকার।’

কক্সবাজারের ৬ হাজার ৮০০ একর বনভূমিতে মিয়ানমার থেকে জোর পূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।

‘এলাকাটি অত্যন্ত অসুরক্ষিত, রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি আমাদের বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করছে,’ বলেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি পুরোপুরি মিয়ানমার ও তাদের নিজেদের জনগণ সম্পর্কিত বিষয় এবং ‘তাদের নিজেদেরকেই এর সমাধান করতে হবে।’

তবে সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়াই এ সঙ্কটের একমাত্র সমাধান বলে মনে করেন তিনি।

ড. মোমেন বলেন, সুরক্ষিত ও পুনরুদ্ধারিত বাস্তুসংস্থান এবং জীববৈচিত্র্য মানুষের চাপ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রশমিত করে এবং বাড়তি সহনশীলতা দিতে পারে।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ কেশব জাভাদেকার, মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্রের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী আহমেদ মুজথাবা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, দক্ষিণ এশিয়া সমবায় পরিবেশ কর্মসূচির মহাপরিচালক আবাস বাসির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ