রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ইস্যুতে পুলিশসহ জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিতে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাসপোর্ট নিতে হলে আগে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সার্টিফিকেট ও জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। সেক্ষেত্রে পুলিশসহ যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পেতে অনেক সংস্থা জড়িত থাকে। স্থানীয় চেয়ারমান, জন্মনিবন্ধন যিনি দেন, ওয়ার্ড কমিশনার, জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এটি আসে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যখন এদেশে ঢুকেছে, তখন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তাদের নিবন্ধন করা হয়েছে। ফলে তারা পাসপোর্ট করতে গেলে সফটওয়ারে ধরা পড়ছে। তারপরও যারা কৌশলে এটি করছেন তারা ধরা পড়ছে। পুলিশ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। যারা সহযোগিতা করছেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে, যাদের অধিকাংশই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর এদেশে প্রবেশ করেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তায় জাল বাংলাদেশি পাসপোর্স তৈরি করে অজ্ঞাত সংখ্যক রোহিঙ্গারা বিদেশে ভ্রমণ করেছে। সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না থাকলেও গত বছর প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।

অপরাধমূলক কর্মে রোহিঙ্গারা জড়িত হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

আজকের বাজার/এমএইচ