রোহিঙ্গাদের সুবিচারে হেগে আন্তর্জাতিক বিশেষ সভা ১৮ অক্টোবর

রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায় বিচারে নেদারল্যান্ডের হেগে আগামী ১৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে), কলম্বোভিত্তিক এশিয়া জাস্টিস কোয়ালিশন এবং নেদারল্যান্ডসসের ইরাসমুস বিশ্ববিদ্যালয় রোটারডামের অন্তর্ভুক্ত ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল স্টাডিজে (আইএসএস) এ কনক্লেভ বা বিশেষ সভার আয়োজন করেছে।

‘রোহিঙ্গাদের জন্য সুবিচার ও জবাবদিহি’ শীর্ষক এ আন্তর্জাতিক কনক্লেভ উপলক্ষে শনিবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিজে সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সিপিজের নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুর হাসান ও নারীপক্ষের সদস্য শিরীন হক এতে ব্রিফ করেন।

তারা জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রতিক্রিয়ায় কয়েকটি জবাবদিহির উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। যার মধ্যে- বলপ্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগে বাধ্য করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আর্জি।

কনক্লেভে নৃশংসতা, জবাবদিহি ও অ্যাডভোকেসি নিয়ে মূলত আলোচনা হবে জানিয়ে আয়োজকরা জানান, উদ্বোধনী অধিবেশন ছাড়াও দিনব্যাপী সভার তিনটি প্যানেল আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট ও মিয়ানমারের সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, রোহিঙ্গাদের জন্য সুবিচার ও জবাবদিহি, টেকসই সমাধানের জন্য বহুমুখী সুনির্দিষ্ট কাজ বিষয়ে আলোচনা উত্থাপন করা হবে। আর সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা প্রস্তুত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও নীতি-নির্ধারক, বিশ্বের খ্যাতনামা মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট আইনবিদরা এ সভায় যোগ দেবেন বলেও আয়োজকরা জানিয়েছেন।

অতিথিদের মধ্যে থাকবেন- মিয়ানমারে কানাডার বিশেষ দূত বব রে, গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর ম্যারি টাম্বাডো, আইএসএসের রেক্টর ইঙ্গে হুটার, নেদারল্যান্ডসের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমার বিষয়ক কফি আনান কমিশনের সদস্য লেটেশিয়া ভ্যান ডেন আছুম, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসির বাস্তুচ্যুতি ও দেশান্তরী কর্মসূচির পরিচালক আজিম ইব্রাহিম, জুরিস্ট গ্লোবাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ইনিশিয়েটিভের সমন্বয়কারী কিংসলে অ্যাবোট, এশিয়া প্যাসিফিক রিফিউজি রাইটস নেটওয়ার্ক রোহিঙ্গা ওয়ার্কিং গ্রুপের সভাপতি লিলিয়ান ফ্যান, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক বিরাজ পাটনায়ক, যুক্তরাজ্যভিত্তিক বর্মী রোহিঙ্গা সংস্থার সভাপতি ও রোহিঙ্গা নেতা তুন কিন, নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভিনসেন্ট চ্যাং, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, নারীপক্ষের ‘রোহিঙ্গা নারীদের পাশে আমরা’ কর্মসূচির সমন্বয়কারী শিরীন হক, সিপিজের নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুর হাসান, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের এ দেশীয় পরিচালক ফারাহ কবির, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি পরিচালক কেএএম মোর্শেদ, আইএসএসের অধ্যাপক সৈয়দ মানসব মোর্শেদ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সিপিজের মাতে ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে চলেছে। এ সংখ্যা বিগত কয়েক দশক ধরে আশ্রিত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর অতিরিক্ত। ফলে, বিশ্বের মোট শরণার্থী জনসংখ্যার ৪.৭ ভাগ এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ