রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবার খরচ দেবে ওষুধ শিল্প সমিতি

আজকের বাজার প্রতিবেদন
রোহিঙ্গাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে সরকারের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি। সরকারের ১২টি চিকিৎসা ক্যাম্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এ সেবা দেবে সংগঠনটি।
৯ অক্টোবর সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিকিৎসা সেবার অভাব রয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধও নেই সেখানে। সরকারের ১২টি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। যেখানে ২ জন করে ডাক্তার আছে। তবে রোগীর চাপ এত বেশি যে সবাইকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া দুরহ হয়ে পড়েছে।
পাপন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারী আছে; তাদের অনেকে ৩/৪ মাসের মধ্যে সন্তান প্রসব করবে। তাই এখন ক্যাম্পগুলোতে গাইনোক্লোজিস্টের প্রয়োজন বেশি হবে। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ওই ক্যাম্পগুলোর সব ধরণের সেবার দায়িত্ব নিতে চায়। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও সম্মতি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ৬ মাসের স্বাস্থ্য সেবা পরিকল্পনা করেছি। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে আমরা আবার নতুন সিদ্ধান্ত নেবো। সরকারের সঙ্গে থেকে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ইতোমধ্যে আমরা একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছি। কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের এই সেবা কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে। যেখানে ডাক্তার, ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করবে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এসএম শাফিউজ্জামান, উপদেষ্টা ড. মোমেন, ইসি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
গত ২৫ আগস্ট রাতে রাখাইনে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনাক্যাম্পে হামলা চালায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরএসএ)। ওই হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ সদস্যসহ ৮৯ জন মারা যান বলে মায়ানমার সরকারের ভাষ্য।
এর পরই রাজ্যটিতে শুরু হয় সেনা অভিযান। অভিযানে হাজারো অধিক নিরীহ রোহিঙ্গা মারা গেছেন। আর প্রাণ বাঁচাতে সর্বস্ব হারিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় পাঁচ লাখেরো অধিক রোহিঙ্গা। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইউএনবির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে সেখানে অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার ৫২৩ জন।