রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে গুতেরেস ও জিম ইয়ং কক্সবাজারে

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম কক্সবাজারে পৌঁছেছেন। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।

সোমবার (২ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের এক বিশেষ ফ্লাইটে করে তাঁরা কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন।

সেখান থেকে দুই অতিথিকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজারের অভিজাত হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টে। সেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের ব্রিফিং করবেন।

এরপর ৯টা ৪০ মিনিটে তারা হোটেল থেকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে পৌঁছে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা নতুন আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। পরে নতুন বর্ধিত রোহিঙ্গা শিবির ক্যাম্প-৪ পরিদর্শন।

এরপর জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ইউএনএফপিএ পরিচালিত মহিলাবান্ধব কেন্দ্রে যাবেন এবং ১০-১৫ রোহিঙ্গা নারীর কাছ থেকে শুনবেন মিয়ানমারের নির্যাতনের বর্ণনা। এরপর ডি-৪ ক্যাম্পে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম পরিচালিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পরিদর্শন করবেন। সেখান থেকে ডি-৫ ক্যাম্পে গিয়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গা পুরুষ ও নারীদের সঙ্গে আলাপ শেষে বিকেল ৩টার দিকে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

বিকেলে হোটেলে ফিরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সভা করবেন এবং সাড়ে ৫টার দিকে ফেসবুক লাইভে সংযুক্ত হবেন। এরপরই তারা ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বরতার মুখে আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সরেজমিন দেখতেই কক্সবাজারে আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট। এ জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি বাড়তি তিন হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের প্রেসিডেন্ট পিটার মুরার প্রতিনিধিদলে রয়েছেন। তাঁদের সফর মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা।