রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উদ্যোগ গ্রহণে কনসাল জেনারেলদের অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া তদারকিসহ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার ও সিভিল সোসাইটিকে সংশ্লিষ্ট করতে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের অনারারি কনসাল জেনারেল এবং বিদেশে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেলদের অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। খবর ইউএনবি।

সম্প্রতি লেখা এক চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বোঝা অনির্দিষ্টকালের জন্য বহন করতে বাংলাদেশ সক্ষম নয়। যুগের পর যুগ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ও দুর্দশাগ্রস্ত এ জনগোষ্ঠীর অবস্থান এ দেশে দীর্ঘায়িত হলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

তিনি উল্লেখ করেন, অনেক চ্যালেঞ্জ ও বাধা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দিক বিবেচনায় এই অসহায় লোকদের অস্থায়ী আশ্রয় দেয়ার মতো অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরসহ ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালের মতো মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিকভাবে এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসরণ করে নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য দৃশ্যমান সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমারের ব্যর্থতা এবং মিয়ামারের চরম অনাগ্রহের কারণে এখনও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বদেশে প্রত্যাবাসন শুরুর কার্যক্রম অনিশ্চয়তার মধ্যেই আছে। আর তাই এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।

আজকের বাজার/এমএইচ