রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে চাপ দিন: ভারতকে জাতিসংঘ

FILE - In this Sunday, Oct. 22, 2017, file photo, a Rohingya Muslim woman, Rukaya Begum, who crossed over from Myanmar into Bangladesh, holds her son Mahbubur Rehman, left and her daughter Rehana Bibi, after the government moved them to newly allocated refugee camp areas, near Kutupalong, Bangladesh. A team of independent investigators examining alleged violence and killings in Myanmar that caused hundreds of thousands of Rohingya Muslims to flee their homes have issued a searing critique of the United Nations' own operations in the country just as bloodshed erupted in August 2017. (AP Photo/Dar Yasin, File)

রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সাথে প্রত্যাবাসন সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহায়তা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

বাংলাদেশকে সমর্থন করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশের ১০ লাখের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে হয়েছে, এটা অগ্রহণযোগ্য। আমি মনে করি এখানে উদারতা সমৃদ্ধির বিপরীত অনুপাতে হয়েছে।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রসঙ্গে গুতেরেস বলেন, সারা বিশ্বে রোহিঙ্গাদের মতো বৈষম্যের শিকার হওয়া অন্য কোনো জাতিকে আমি দেখিনি।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে মহাসচিব বলেন, চাওয়ার মতো সংস্কার করতে তিনি পরবেন না, কারণ তার একার এতোটা ক্ষমতা নেই।

মঙ্গলবার দিল্লির টাউন হল বৈঠকে গুতেরেস বলেন, ভারত কী করতে পারে? প্রথমত, ব্যাপক মানবিক সমস্যায় জর্জিত বাংলাদেশকে সমর্থন করতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভারত মিয়ানমারকে চাপ দিতে পারে। আর এটা কেবল রোহিঙ্গাদের গ্রামের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নয়, রোহিঙ্গারা সেখানে যেন নিরাপদে থাকতে পারে তার জন্যও।

বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব পরার আশঙ্কার কথা জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ভাগ্যক্রমে অনেক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েনি এবং আমরা এ পর্যন্ত তা এড়াতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বৈষম্য ও অমীমাংসিত সমস্যা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে তাদের দিকে টানতে সহজতর করে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, বর্তমান বিশ্ব আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্ব সম্পূর্ণ আলাদা। তাই জাতিসংঘকেও পরিবর্তিত হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যকে একমত না হওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী অনেক সমস্যার সমাধান হয় না। এতে করে নিরাপত্তা পরিষদ অচল হয়ে পড়েছে। তথ্যসূত্র-ইউএনবি।

আজকের বাজার/এমএইচ