রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ওআইসি’র সহায়তা কামনা বাংলাদেশের

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশ সমূহের সহায়তা কামনা করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আজ বক্তৃতাকালে এ আহবান জানান। তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের কিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করারও আহবান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সৌদি আরবের জেদ্দা কনফারেন্স প্যালেসে ওআইসি’র ১৪তম শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদানকালে এ আহবান জানান। আজ এখানে প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানা যায়। খবর বাসস।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গাম্বিয়ার নেয়া উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক আদালতে বিচার চাওয়া হবে। মন্ত্রিপযার্য়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি ইশতেহারের খসড়া চূড়ান্ত করতে সম্মত হয়। এই ইশতেহারে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ অন্যান্য ইস্যুও উল্লেখ থাকবে।
গত ২৭ মে অনুষ্ঠিত পদস্থ কর্মকর্তাদের সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়। এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাওসুল আজম সরকার।

আজ অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে মোমেন ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সংহতি ও ঐক্য গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলিম দেশগুলোকে নিজেদের মধ্যকার সমস্যা ওআইসির মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। তিনি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করতে উলেমাদের নিয়ে একটি নতুন প্লাটফর্ম গঠনের প্রস্তাব করেন। তিনি বিভিন্ন ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রে সংঘর্ষময় এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মতো মুসলিম উম্মাহর বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপর্যায়ের এডহক কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন। এ ছাড়া তিনি ইন্দোনেশিয়া, মালোয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এ সকল বৈঠকে সকল পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বৃহত্তর অর্থনৈতিক জোট ও বাণিজ্য সুবিধা গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অঞ্চলে অর্থনৈতিক জোট বিষয়ক দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সহযোগিতা ফোরাম নিয়েও কথা বলেন। আগামী জুনে ঢাকায় এই ফোরামের উদ্বোধন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজকের বাজার/এমএইচ