র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমকে হাইকোর্টে তলব

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া ব্যক্তিদের সার্টিফায়েড কপি সময় মতো না দেওয়ায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১ ডিসেম্বর সশরীরে তাকে আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

সোমবার মোবাইল কোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে র‌্যাব সদর দপ্তরের জুলাইয়ের ১৮ তারিখে দেওয়া ৪৪০/২০১৯ নম্বর মামলার আদেশের সার্টিফাইড কপি দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।

এক সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে রুলের উত্তর দিতে বলা হয়েছে।

আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. সাখাওয়াত হোসাইন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ছিলেন।

হাইকোর্টে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, কেন সত্যায়িত অনুলিপি দেওয়া হয়নি ডিসেম্বর ১ তারিখে হাজির হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের বটতলা খালপাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ এর অধীনে ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন জানিয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসাইন খান বলেন, এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলের জন্য আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি এটা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আপিলও করতে পারেননি মিজান মিয়া। আপিল করা আবেদনকারীর মৌলিক অধিকার।

আজকের বাজার/এমএইচ