লবণ গুজবে বোকা বনে এখন আফসোস!

গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে অনেকেই বেশি দামে লবণ কিনে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি বোকা বনে গেছেন। লবণের দাম বেড়ে যাচ্ছে এমন গুজব ছড়ানোর পর গতকাল নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি কিনতে লোকজন দোকানে ভিড় করেন। এই সুযোগে দোকানীরা বেশি দামে লবণ বিক্রি শুরু করেন।

দাম বাড়ার আশঙ্কায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেককে বাড়তি লবণ কিনতে দেখা যায়। তবে সরকার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ব্যবসায়ীদের তৎপরতার কারণে গতকাল রাতেই লবণের দাম আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু যারা বেশি দামে বাড়তি লবণ কিনেছেন, তারা এখন আপসোস করছেন। বাড়তি লবন এখন কি করবেন, সেটি নিয়ে তাদের মধ্যে ভাবনা তৈরি হয়েছে।

যারা বেশি দামে বাড়তি লবণ কিনেছেন তাদের একজন রাজধানীর পল্টন লাইন এলাকার বাসিন্দা রাজীব হাসান। তিনি দাম বাড়ার আশঙ্কায় গতকাল বিকেলে তড়িগড়ি করে দশ কেজি লবণ ক্রয় করেন। এতে প্রতি কেজি লবণে তাকে দশ টাকা বেশি গুণতে হয়। আজ রাজীব হাসান বাসস প্রতিবেদককে জানান, ‘বেশি দামে বাড়তি লবণ কিনে আমি বোকামি করেছি। পেঁয়াজের মত লবণের দাম বাড়তে পারে, এমন কথা শুনার পর আমি আগামী তিন-চার মাসের লবণ একবারে কিনে ফেলি। কিন্তু রাতে দেখি লবণের দাম স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন চিন্তা করছি এত লবণ দিয়ে কি করব।’ লবণের দাম বেড়ে যেতে পারে-এই খবরটি যে গুজব ছিল সেটিও তিনি বুঝতে পেরেছেন বলে জানান।

শিল্প সচিব মো. আব্দুল হালিম বাসসকে বলেন, ‘এখন চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬ গুন বেশি লবণ মজুদ আছে। উল্টো ব্যবসায়ীরা লবণ বিক্রি করতে পারছেন না। তাই তারা লবণ রফতানির অনুমোদন চেয়ে সরকারের কাছে দেনদরবার করছে। সেখানে লবনের দাম বাড়ার কোন ধরনের আশঙ্কা থাকতে পারে না।’

তিনি বলেন, গতকাল গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে যারা বেশি দামে লবণ কিনেছেন। তারা ঠকেছেন। যিনি ৫ টাকা বেশি দামে কিনেছেন, তিনি অব্যশই ৫ টাকা ঠকেছেন। তিনি বলেন,‘আমরা গতকাল বলেছিলাম গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে লবণ কিনলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এটি যে গুজব ছিল সেটি সবাই এখন বুঝতে পেরেছে। এরপরও গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ কেউ লবণ কিনেছেন। এটি নিশ্চয়ই বোকামি হয়ে গেছে।’

যারা গুজব ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, আজ দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধলা গ্রামের একটি বাড়ির গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করা ৭ হাজার কেজি লবণ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান