লাকসামে খাল খননে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে দুই হাজার একর জমি

জেলার লাকসামের নলুয়া খাল বিএডিসির সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার একর জমি সেচের আওতায় এসেছে। এতে উপকৃত হবেন তিন হাজারের বেশি কৃষক।
কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, নলুয়া খালের তলদেশ পলি জমে উঁচু হয়ে যাওয়ায় নদী থেকে নলুয়া খালে পানি প্রবেশ করতে পারতো না। প্রতি বছর নলুয়া খাল সংস্কারের চেষ্টা করলেও বোরো মৌসুমে সেচের পানি আসছিল না। এতে দুই হাজার একর জমির প্রায় পুরোটাই অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকতো। নলুয়া খালের দুই পাড়ে কিছু কিছু অগভীর নলকূপ এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে বোরো মৌসুমে অল্প কিছু জমিতে সেচ দেওয়া হতো। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে নলুয়া খাল একেবারেই পানি শূন্য হয়ে পড়তো। এতে লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়নের চন্দনা, রামপুর, মনপাল, রাজাপুর ও তপইয়া গ্রামের কৃষকরা বেকায়দায় পড়তে হতো। এ খালটির তপৈয়ার সংযোগ খাল মনপাল দীঘির উত্তরপাড়ের খাল পুরোটায় ভরাট হয়ে গিয়েছিল।
মনপাল গ্রামের কৃষক সহিদ উল্লাহ জানান, নলুয়া খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছিল না। আমন ফসল হয়না, এখন বোরো মৌসুমে খাল খনন করায় মানুষ উপকৃত হবে।
উত্তরদা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিপন চন্দ দত্ত বাসসকে বলেন, নুলুয়ার খাল ভরাটের কারণে এ এলাকার জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হতো। তবে খাল খননে এবার কৃষকরা লাভবান হবে।
এ বিষয়ে বিএডিসি কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী (সেচ) মো. মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, লাকসামের বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন স্থানে খাল ভরাট হয়ে গেছে। নলুয়ার খালটি খনন শুরু হয়েছে। আশা করছি চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকরা উপকৃত হবেন।