লাগামহীন রাঙামাটির সবজির বাজার

রাঙামাটিতে লাগামহীন হয়ে পড়েছে কাঁচাবাজারে সবজির দাম। কিছু শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করলেও প্রত্যেকটির দাম বেশ চড়া। সেই সাথে মাছ, মাংসের দামও বেড়েছে।

জেলার তবলছড়ি, রিজার্ভ বাজার ও বনরূপায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০, করলা ১০০, পেঁয়াজ ও বেগুন ৯০, শশা, টমেটো ও পটল ১২০, পাহাড়ি ছোট কাঁচামরিচ ২০০ আর দেশীয় কাঁচামরিচ ১৬০ টাকায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী করম আলী জানান, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সবজির সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া করোনার কারণে স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বেশির ভাগ সবজি আনতে হচ্ছে চট্টগ্রাম ও রানিরহাট থেকে। এতে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ যাচ্ছে। তাই বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে। আর এসব কাঁচা মালামাল পচনশীল। সব সবজিতে লাভ করা যায় না। এসব কারণে তাদের এখন সবজি বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কিন্তু ক্রেতা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘অধিক মুনাফার ফায়দা লুটতে ব্যবসায়ীরা সবসময় মরিয়া। তাই সুযোগ নিয়েই অধিক দামে সবজি বিক্রি করছেন তারা। তারা সবসময় কৃষক আর ক্রেতা সাধারণকে ঠকিয়ে নিজেদের অধিক মুনাফা লাভে ব্যস্ত থাকেন। অন্যদিকে, এখানকার স্থানীয় কাঁচাবাজারগুলো মনিটরিং করার কেউ নেই। আর যদি করে তা হলে মাঝে মধ্যে। অথবা কেবল কোনো দুর্যোগ হলেই একটু নড়েচড়ে ওঠেন স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন। তাছাড়া মনিটরিং করা হলেও নানা কৌশলে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে ব্যবসায়ীরা।’

‘প্রতিদিন বাজারে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। যে পণ্যই কিনি দাম বেশি। যাদের আয় নির্দিষ্ট, তাদের জন্য এভাবে চলা কষ্টের। সব মিলে বাজারে ক্রেতার জন্য কোনো স্বস্তি নেই,’ বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. আরিফ বলেন, ‘স্থানীয় কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমরা প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত রেখেছি। সকাল-বিকাল পর্যবেক্ষণ করছি, প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা ও চালান পর্যবেক্ষণ করছি। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’