লাসা জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে গিনিতে

লাসা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর পর সতর্ক হয়ে উঠেছে গিনির চিকিৎসা সেবায় সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার দেশটির চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানান, প্রাণঘাতি এই জ্বরে আক্রান্ত ৮০জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

খবর এএফপি’র।

মারবার্গ বা ইবোলার মতোই এক ধরনের হিমোরেজিক ভাইরাস লাসা জ্বরের কারণ।
কর্মকর্তারা জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কিসিদউগু শহরে ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যাক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। শহর থেকে ৪শ’ কিলোমিটার দূরবর্তী মামোউ-এ ২৯ জানুয়ারি তার মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কিসিদউগু এলাকায় ইবোলার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনে বহুসংখ্যক লোক এতে মৃত্যুবরণ করে।
জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা (এএনএসএস)-এর সাকোবা কিয়েটা বলেন, ‘আমরা মৃতব্যক্তির সম্পর্কে লুকনো কারণা খুঁজে বের করা ও পরিচিতিসমূহ চিহ্নিত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

কিয়েটা আরো বলেন, এ রোগ বিচ্ছিন্ন নাকি মহামারী তা পরিষ্কার নয়।
কিসিদউগুর ৩০ ও মামেউ-এর ৫০ জন মিলে প্রায় ৮০ জনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। তবে, তাদের কারো মধ্যেই এ রোগের অস্তিত্ব মেলেনি।
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ১৯৬৯ সালে সর্বপ্রথম লাসার নাম শোনা যায়।

ইঁদুর দুষিত খাদ্য ও গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি ও সব ধরণের ইঁদুর দমানোর মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘এই ভাইরাসে সংক্রমিত প্রায় প্রতি পাঁচ জনের চার জনের মধ্যে এই রোগের লক্ষ্যণ নেই।’
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর নাইজেরিয়ায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়লে এতে করে ১৭১ জনের মৃত্যু। গত মাসে এ রোগ আরো ১৬ জনের মৃত্যু হয়।