লিবিয়ায় অভিবাসী কেন্দ্রে বিমান হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উপশহরে অভিবাসী আটক কেন্দ্রে মঙ্গলবার বিমান হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছে। সেখানে হামলার ঘটনায় দেশটির বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারকে দায়ী করা হয়। তিনি তিন মাস ধরে রাজধানী দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। খবর এএফপি’র।
জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র এএফপি’কে বলেন, তাজৌরায় বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন আহত হয়েছে।
মুখপাত্র ওসামা আলী বলেন, ‘এটা একটি প্রাথমিক ধারণা। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’
তিনি জানান, ১২০ অভিবাসীকে ওই কেন্দ্রে আটক রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রটিতে সরাসরি বিমান হামলা চালানো হয়।
এএফপি’র এক ফটোগ্রাফার জানান, লাশগুলো অভিবাসী কেন্দ্রের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। অভিবাসীদের পোশাকে রক্তে লাল হয়ে গেছে।
সেখানে ধ্বংসস্তুপের ভিতরে জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধার কর্মীরা তল্লাশি চালাচ্ছে। অনেক অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ত্রিপোলি ভিত্তিক জাতীয় ঐক্যের সরকার (জিএনএ) এ হামলাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করে এর নিন্দা জানায় এবং তারা এ ঘটনায় ‘যুদ্ধাপরাধী খলিফা হাফতারকে’ দায়ী করে।
লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করা হাফতার গত এপ্রিলের গোড়ার দিকে রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিতে অভিযান শুরু করে।
জিএনএ অভিবাসী কেন্দ্রে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানোয় হাফতারপন্থী বাহিনীকে অভিযুক্ত করে।
এখন পর্যন্ত এ হামলার ঘটনায় কেউ দায়িত্ব স্বীকার না করলেও হাফতারপন্থী সংবাদমাধ্যম ত্রিপোলি ও তাজৌরায় মঙ্গলবার রাতে ‘ধারাবাহিক বিমান হামলার কথা জানিয়েছে।
খলিফার অনুগত বাহিনী প্রায় নিয়মিতভাবে তাজৌরা উপশহরে বিমান হামলা চালায়। সেখানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা জিএনএ পন্থী সশস্ত্র গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা জানায়, অভিবাসী কেন্দ্রে বিমান হামলার খবরটি ‘খুবই উদ্বেগজনক।’
টুইটারে দেয়া এক বার্তায় তারা জানায়, ‘ত্রিপোলির পূর্বে তাজৌরা আটক কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় হতাহতের খবরে ইউএনএইচসিআর খুবই উদ্বিগ্ন।’
তারা জানায়,‘বেসামরিক নাগরিক কখনো কোন হামলার লক্ষ্য হওয়া উচিত না।’