লোকসান ঠেকাতে ফেরত গেলো লিজে আনা বিমান

বড় অঙ্কের লোকসান ঠেকাতে মিশর থেকে ভাড়া করে আনা বিমান দুটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই বছর আগেই ফেরত পাঠাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। একটি বিমান ইতোমধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং অন্যটি আগামী মার্চ মাসে ফেরত পাঠানো হবে।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে ভাড়ায় আনা বিমান দুটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বিমানে যুক্ত হয়। পাঁচ বছরের চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালে। ভাড়া করা বিমান দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ এয়ার।

এক বছর ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। বিমানটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও নতুন ইঞ্জিন আনা হয় ভাড়ায়। কিন্তু ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সেই ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও বিকল হয়ে যায়।

পরে ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হয় বিমানকে। মাসে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা করে ভাড়ায় আনা ওই উড়োজাহাজ বসে থেকে বিমানের বোঝায় পরিণত হয়।

এসব ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসার পর ২০১৭ সালের জুনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য কামরুল আশরাফ খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জুলাই মাসের ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উড়োজাহাজ দুটি লিজ আনার চুক্তির সমস্ত শর্তই ছিল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে, যার ফলে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বিমানের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।’

পরে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমান দুটি ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটি ও আশানুরূপ সার্ভিস না পেয়ে বোয়িং দুটি ফেরত পাঠানো হচ্ছে।’

আজকের বাজার: সালি / ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮