শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস শুক্রবার

মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শুক্রবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হতে যাচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য মেধাবী বাঙালিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।

পরে তাদের মরদেহ রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে ফেলে দেয়া হয়।

পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ঠাণ্ডা মাথায় এ গণহত্যা চালায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. ডালিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সান্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান, এএনএম গোলাম মুস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভিন।

১৪ ডিসেম্বরের এই দুঃখজনক ঘটনার স্মরণে সরকার বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৭টার দিকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে শহীদ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সেই সাথে সর্বস্তরের মানুষ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে সেমিনার ও আলোচনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

এদিকে, দিবসটির মর্যাদা রক্ষার্থে অনুষ্ঠান পালনে মাইক ও লাউডস্পিকার ব্যবহার না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। তথ্যসূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ