শান্ত’র ধারাবাহিকতার নেপথ্যে টিম ম্যানেজমেন্টের নিশ্চয়তা

দলে নিয়মিত সুযোগ দেয়ার বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতিশ্রুতি নাজমুল হোসেন শান্ত’র মধ্যে মানষিক দৃঢ়তা এনে দিয়েছে। যে কারণে আকিষ্মকভাবে নয় ধারাবাহিকভাবে তার ব্যাটিংয়ে স্থিতিশীলতা গড়ে উঠেছে। শান্তকে বাংলাদেশ দলের প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার হিসেবে মনে করা হলেও ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হয়ে দুই ইনিংসে তিনি রান করেছিলেন যথাক্রমে ১৮ ও ১২ রান। এক বছর পর তিনি যখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের জন্য ফের জাতীয় দলে ডাক পান তখন আরো নেমে আসে তার পারফর্মেন্স। দুই ইনিংসে তিনি সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৫ ও ১৩ রান। এর পর থেকেই তিনি জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন। ২০২০ সালে এসে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্টে ফের তাকে দলে সুযোগ দেন নির্বাচকরা। এ সময় শান্তকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় জাতীয় দলে নিয়মিত রাখার বিষয়ে। প্রতিশ্রুতি টনিকের মত কাজ করেছে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দুই ইনিংসে তিনি সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৪৪ ও ৩৮ রান। এরই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের ১ম ইনিংসে আজ শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৭১ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস।

বর্তমান ধারাবাহিক রানের নেপথ্যে কোন জিনিসটা কাজ করেছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন,‘আমি আগের যে ম্যাচগুলোতে খেলেছি, তখন দল থেকে বাদ পড়ার একটি ভয় নিজের মধ্যে কাজ করতো। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলি তখনো মনের মধ্যে সেটি গেঁথে ছিল। তবে এখন আমি নিয়মিত ভাবেই দলে সুযোগ পাচ্ছি। কোচিং স্টাফরা আমাকে বুঝিয়েছেন যে দলে থাকা বা বের হবার বিষয়টি মনের মধ্যে জায়গা না দিতে। তারা এও বলেছে যে আমার মধ্যে ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন আমি শুধু আমার খেলার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।’

মানষিক পরিবর্তনের বাইরে নিজের ব্যাটিংয়ে অন্য কিছু দেখছেন না বলে উল্লেখ করেন শান্ত। তিনি বলেন,‘বিগত কয়েকমাস ধরে আমার ব্যক্তিগত কোচ উপদেশ দিয়ে আসছেন বেশী চিন্তা না করতে। শুধুমাত্র নিজের খেলা ও সামর্থ্যরে দিকেই মনোযোগী হতে বলেছেন। যা আমার আত্মবিশ্বাস ও খেলার সামর্থ্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আগের তুলনায় আমার মানষিক অবস্থানে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এখন নিজেকে শান্ত রেখে আমি ধৈর্য্য ধরে খেলার চেস্টা করি। শুরু থেকেই এই ইনিংসটি আমি পরিকল্পনা করে রেখেছি।’টেস্টের এই ধারাবাহিকতার সুফল টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে দিতে শুরু করেছে। ওডিআই স্কোয়াডের জন্যও তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। শান্ত বলেন,‘দীর্ঘ সময় ধরে আমি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলাম। সর্বশেষ যখন আমি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ি, তখন আমি হাই পারফর্মেন্স প্রক্রিয়াতে ছিলাম। যেটি আমাকে একটি পদ্ধতির মধ্যে রেখেছে। আমি তখন নিজেকে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করতাম। আমার মনে হয় সব খেলোয়াড়েরই আমার মত সুযোগ পাওয়া উচিৎ। ওয়ানডে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়ে আমি খুবই খুশি। খেলার সুযোগ পেলে আমি সেরাটা দিয়ে ভাল করার চেস্টা করব।’তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান