শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ বক্স স্থাপনের পরামর্শ হাইকোর্টের

শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালায় দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের অভিযোগ শুনতে অভিযোগ বক্স স্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ভিকারুননেছা স্কুলের শিক্ষার্থী অরিত্রীর আত্মহত্যার বিষয়ে আনা রিটে সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ পরামর্শ দেয়।
অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় বুলিং নিরোধ (শিক্ষার্থী হয়রানি নিরোধ) কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ডেপুর্টি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বাশার)। অন্যদিকে অরিত্রির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
ব্যারিস্টার অনিক আর হক বাসস’কে বলেন, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালার খসড়া বিষয়ে আদালতকে অবহিত করা হয়। আদালত তা আরো সময় উপযোগী করার বিষয়ে বলেছেন।
ডেপুর্টি এটর্নি জেনারেল বাসার বলেন, আদালত শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে হতে যাওয়া জাতীয় নীতিমালায় প্রতিটি স্কুলে শিশুদের নির্যাতনের অভিযোগ শুনতে একটি অভিযোগ বক্স খোলার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছেন। শিশুরা তাদের নির্যাতনের অভিযোগগুলো মা-বাবা অথবা স্কুলের শিক্ষক, কারো কাছেই বলতে পারেনা। সেক্ষেত্রে স্কুলে একটি অভিযোগ বক্স থাকলে সেখানে শিশুরা অভিযোগগুলো নির্ভয়ে তুলে ধরতে পারবে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে অরিত্রির আত্মহত্যার প্রকাশিত খবর চার আইনজীবী আদালতের নজরে আনার পর ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেয়। আদেশে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে অতিরিক্ত শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে আদালত। এক মাসের মধ্যে এই কমিটিকে দুটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একটি হচ্ছে, জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে তারা একটি প্রতিবেদন দেবে। আরেকটি হচ্ছে, অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানের প্রতিবেদন। আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুলও জারি করেন। অরিত্রির আত্মহত্যার মতো ঘটনা প্রতিরোধের উপায় নির্ণয় করে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।