শীর্ষ পাঁচ বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব ব্যাংক। এ তালিকার অন্যান্য দেশগুলো হলো- ইথিওপিয়া, ঘানা, ভুটান ও আইভরি কোস্ট।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ে প্রকাশিত ‘দ্য বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট এপ্রিল ২০১৯: টুওয়ার্ডস রেগুলেটরি প্রেডিকটেবিলিটি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ অপর্যাপ্ত হলেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে স্থিতিশীল ব্যাস্টিক ও রপ্তানিনির্ভর শিল্প।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারা শক্তিশালী ও স্থিতিশীল। বাংলাদেশ বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের নিচে রাখতে পেরেছে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে উৎপাদন ও অবকাঠামো নির্মাণের হার বেড়েছে। অন্যদিকে, ভোক্তা ও রাফতানিও বেড়েছে। রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে গ্রামীণ অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ কৃষি উৎপাদনেও বাংলাদেশ অগ্রগতি দেখিয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকারও দ্রুত বাড়ছে।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ এখনও কম। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়লেও তা এখনও জিডিপির ১ শতাংশের কম। বস্ত্র, তৈরি পোশাক, ওষুধ বা প্যাকেজিংয়ের মতো শিল্প খাতগুলোতে যন্ত্রপাতি আমদানির হারও কমেছে। ভূমি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো গেলে বাংলাদেশ শিল্প খাতের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কিছু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি দুর্বল করপোরেট গভর্ন্যান্সের কারণে মন্দ ঋণ বা নন-পারফরমিং লোনের পরিমাণ বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে আরও এগিয়ে নিতে কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্য আয় ও ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ হতে হবে, প্রয়োজনীয় জনবল থাকতে হবে এবং আর্থিক খাত, ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ ও অবকাঠামো শূন্যতা পূরণের মতো খাতগুলোতে উদ্ভাবনী সংস্কার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ ও ভূটান অঞ্চল) রবার্ট জে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। এ সময় বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট জাহিদ হোসেন প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আজকের বাজার/এমএইচ