শেখ হাসিনাকে ‘খুব বড় হৃদয়ের মানুষ’ আখ্যা মালয়েশিয়ার বিদায়ী দূতের

ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার নুর আশিকিন বিন্তি মোহাম্মদ তাইব বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার কার্যালয়ে শেষ সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে একজন ‘খুব বড় হৃদয়ের মানুষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মালয়েশিয়ার বিদায়ী দূত বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রীর উদারতার প্রশংসা করে মালয়েশিয়ান দূত বলেন, বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য এক চাপ এবং মিয়ানমারের উচিত উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা যাতে এসব মানুষ তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারেন।

শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহায়তার জন্য মালয়েশিয়াকে ধন্যবাদও জানান।

রোহিঙ্গা সংকটের মতো এমন মানবিক বিপর্যয়ের সময় চোখ বন্ধ করে থাকা যায় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ভোগান্তি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ ভোগ করছে। তারা তাদের ফসলি জমির পাশাপাশি কাজ হারাচ্ছে। ‘সৌদি আরব ও ভারতসহ বাহির থেকে নতুন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ আসছেন।’

রোহিঙ্গাদের জন্য নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রায় ৮ হাজার মানুষ কাজ করছে।

বিশুদ্ধ পানিসহ সব সুবিধা দ্বীপে থাকবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার উপকূলীয় এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রও নির্মাণ করছে।

তিনি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে প্রক্রিয়া চলছে, যা পূর্বকে পশ্চিমের সাথে যুক্ত করবে। ‘বিমানবন্দরটিতে উড়োজাহাজে জ্বালানি ভর্তি করার সব সুবিধা থাকবে।’

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর একটি মালয়েশিয়া।

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বাংলাদেশের উন্নয়নের গতির প্রশংসা করে বলেন, দেশটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

নুর আশিকিন আরও বলেন, তিনি বাংলাদেশ ও এর জনগণকে পছন্দ করেন। ‘দায়িত্ব পালনকালে আমি বাংলাদেশকে নিজের দেশ হিসেবে বিবেচনা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ