শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশে হত্যা আর বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান হয়েছে: সরকারি দল

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে হত্যা, ক্যূ আর বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।গত ৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও এ বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।

রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ আলোচনায় অংশ নেন, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন্নার, সরকারি দলের অধ্যাপক আলী আশরাফ, জিল্লুল হাকিম, নুরুন্নবী চৌধুরী, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, আলী আজম, গাজী মো. শাহনেওয়াজ, বেগম মেহের আফরোজ, মমতাজ বেগম, হাবিবা রহমান খান, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ও জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম। আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি, শিল্প ও আর্থসামাজিক খাতসহ সব ক্ষেত্রে সরকারের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশে ২০০৯-১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বাত্মক বিপ্লবের জোয়ার বইছে।

তিনি বলেন, এর আগের সরকারগুলোর আমলে দেশের জনগণের খাদ্যের যোগান দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা ম্যাজিকের কারণে দেশ খাদ্যে উদবৃত্ত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়া এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার কৃষক বান্ধব নীতি গ্রহণ করায় কৃষি উৎপাদন যে কোন সময়ের তুলনায় কয়েকগুন বেড়েছে।

বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার পরিবেশ দূষন রোধে জনসচেতনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বায়ু দুষণের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডই দায়ী। পরিবেশের কথা চিন্তা না করে এমনকি শর্ত পুরণ না করে এসব উন্নয়ন কার্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। পরিবেশের বিরূপ প্রভাব রোধে অবশ্যই উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের সময় এ সব শর্ত মেনে চলতে হবে। তিনি পরিবেশ দুষণের অন্যতম কারণ ইট ভাটা উল্লেখ করে বলেন, এ থেকে রক্ষা করতে সবাইকে বিশেষ করে ইট ভাটা মালিকদের সবাইকে পরিবেশ বান্ধব অটো ইট প্রস্তুতের দিকে জোর দিতে হবে।

সরকারি দলের অন্যান্য সদস্যরা বলেন, বতৃমান সরকারের গত ১১ বছরে দেশের সকল খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ এখন খেয়ে পরে সুখে আছে। এখন আর কৃষককে সারের জন্য গুলি খেয়ে মারা যেতে হয় না। সার এখন কৃষকের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এখন শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। প্রতি বছরের শুরুর দিন ২ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় গমনোপযোগি সব শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। এরাই একদিন আলোকিত মানুষ হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নও নিশ্চিত করেছেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান