শেরপুরে কৃষকরা আলু চাষে লাভবান

আগাম জাতের ধান ঘরে তুলে আগাম বীজ আলু চাষ করে লাভবান হচ্ছে শেরপুরের নকলা উপজেলার কৃষকরা। এ জাতের আলু চাষ করে বরাবরের মতো এবারও লাভবান হওয়ার আশায় আলু চাষ চাষিরা। নকলা উপজেলার চরমধূয়া, চন্দ্রকোনা, পাঠাকাটা, নারায়নখোলা, চরবাশন্তি এলাকার কৃষকরা এখন মহা খুশি।
বাজারে যার আলু যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি। তাই আগে ভাগেই এখন আলু চাষ করছে কৃষকরা। এবার আবহাওয়া অনুকূল। বীজের দামও ছিল কম। প্রয়োজনীয় সারের সরবরাহও ছিল স্বাভাবিক। তাই কৃষকরা জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করেছেন অনেক। শ্রমিকরাও বসে না থেকে আলু জমিতে কাজ করে বাড়তি আয় করেছেন। মহিলারাও আলু হিমাগারে কাজ করে আর্থিক স্বাবলম্বী হচ্ছেন বলে জানায়।
এবার প্রতি বিঘা জমিতে আগামজাতের আলু রোপণে খরচ হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। বিঘায় আলু উৎপাদন হয় আড়াই হাজার কেজি। আগাম আবাদে আগাম বাজার ধরতে পারায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা করে। এতে বিঘা প্রতি আলু বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ পাওয়া যায় প্রায় ৩০ হতে ৪০ হাজার টাকা।
আলু চাষি কামরুজ্জামান গেন্দু, সাজু সাইদ সিদ্দিকী, নুরল ইসলাম, কার্তিক জানান, গেল বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ আবাদ করেছেন কৃষকরা। গতবার ভালো দাম পেয়েছিলেন এবারও ভাল দাম পাচ্ছেন। জিয়ারুল নামে এক কৃষি শ্রমিক জানান, আগে এ সময়টা কোন কাজ থাকতো না। এখন আগাম আলু চাষ হওয়ায় কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আলু চাষি আলহাজ আবুল কালাম আজাদ জানান, আগাম জাতের আলু চাষ করে ভালো দাম পাওয়া যায়। তাছাড়া ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে এ আলু ক্ষেত থেকে তোলা যায় বলে কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ মোদক জানান, এ বছর উপজেলার ৩শ একর জমিতে আগাম আলু চাষ হয়। এতে প্রায় ১৬শ ২৫শ মে. ট. আলু উৎপাদিত হতে পারে। উৎপাদিত আলু সরকার যদি মাঠ থেকেই সংগ্রহ করে হিমাগারে রাখে তাহলে কৃষক বাজারে নিয়ে বিক্রির ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে অধিক লাভবান হবে। প্রতিবারের মতো এবারও আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও বিএডিসি আলু হিমাগারের কর্মকর্তারা। সেই লক্ষ্যে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন, কৃষি প্রণোদনা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানালেন এ কর্মকর্তা।