শেষ হলো আয়কর মেলা

এবার প্রায় ২২১৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়
এবারের আয়কর মেলায় ২ হাজার ২১৭ কোটি ৩৩ লাখ ১৪ হাজার ২২১ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৮৭ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪১০ টাকা বেশি। ২০১৬ সালের তুলনায় কর বেড়েছে ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। ওই বছর ২ হাজার ১১২ কোটি ৯৬ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকার কর আদায় হয়েছিল।
এ বছর আয়কর মেলায় রিটার্ন জমা দিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা। আর সেবা নিয়েছেন ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৬৯ জন। এনবিআর জানায়,২০১৬ সালে মেলায় রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জন। সেবা নিয়েছিলেন ৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭৩ জন। এ হিসাবে রিটার্ন জমা বেড়েছে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ। আর সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
মেলার শেষ দিন রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। রিটার্ন দাখিল হয় ৬৬ হাজার ৩৩৩ জনের, সেবা নেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৫৯ জন।
মেলার শেষ দিনও ছিল করদাতা-সেবাগ্রহীতাদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে কর দেওয়ার পর ট্যাক্স কার্ড নিতে ছিল সবার ব্যাপক আগ্রহ, যা এবারই প্রথম চালু হয়।
আয়কর মেলার শেষ দিন ঢাকাসহ সারা দেশে ৪৮টি স্পটে মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৫৬টি জেলা শহরে, ৩৪টি উপজেলা, ৭১টি উপজেলায় (ভ্রাম্যমাণ) আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিমার্ণাধীন জাতীয় রাজস্ব ভবনে ঢাকার মেলা উদ্বোধন করেছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
আয়কর মেলা শেষ হলেও ৯ নভেম্বর থেকে মেলায় বিদ্যমান সব করসেবা, ইনকাম ট্যাক্স, আইডি কার্ড কর অঞ্চলে দেওয়া হবে বলে জানায় এনবিআর। ১২ থেকে ২৩ নভেম্বর সব কর অঞ্চলে আয়কর মেলার মতোই রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।
মেলার পর ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর সারা দেশে সব কর অঞ্চলে আয়কর সপ্তাহ পালিত হবে। সেখানে মেলার পরিবেশে মেলার মতোই সব কর সেবা দেওয়া হবে।
৮৪ পরিবারকে কর বাহাদুর
এদিকে করদাতাদের উৎসাহ ও স্বীকৃতি প্রদানের অংশ হিসেবে ৩৬টি ক্যাটাগরিতে ১৪১ করদাতাকে দীর্ঘ সময় আয়কর প্রদানকারী করদাতা ‘ট্যাক্স কার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। ১৪১ দীর্ঘসময়সহ ৩৭০ জন সর্বোচ্চ করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হয়। ৮৪ পরিবারকে কর বাহাদুর সম্মাননা প্রদান করা হয়। ১০ সিটি কর্পোরেশনসহ ৬৪ জেলায় দীর্ঘমেয়াদী, সর্বোচ্চ, নারী ও তরুণ ক্যাটাগরিতে মোট ৫১৭ জনকে সেরা করদাতাকে সম্মাননা দেয়া হয়।
আয়কর মেলার পরদিন,গেলো বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্মাণাধীন জাতীয় রাজস্ব ভবন প্রাঙ্গণে ‘কর বাহাদুর পরিবার ও সেরা করদাতা সম্মাননা’ এ কার্ড প্রদান করা হয়।
এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর অঞ্চল গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ ব্যতীত সকল জেলার সেরা করদাতা ও দীর্ঘমেয়াদী করদাতাদের সম্মাননা এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করদাতাদের ট্যাক্স কার্ড প্রদান করেন। এছাড়া প্রথমবারের একই পরিবারের দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী ৮৪ পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাদারীপুর জেলায় কর বাহাদুর হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজান খান ও তার পরিবার ও ঢাকা জেলার কর বাহাদুর পরিবার হিসেবে সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লা ও তার পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ব্যক্তিপর্যায়ে বিশেষ শ্রেণীতে সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন স্যামুয়েল এস চৌধুরী, গোলাম দস্তগীর গাজী, চট্টগ্রামের আলী হোসাইন আকবর আলী, রাজশাহীর অনিতা চৌধুরী ও ঢাকার এম আনিস-উদ-দৌলা। গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শ্রেণীতে ঢাকার তিনটি কর অঞ্চলের আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, মো. নাসিরউদ্দিন মৃধা ও এসএম আবদুল ওয়াহাব এবং কুমিল্লার দুটি কর অঞ্চলের মো. আবদুল ওয়াহাব ও মো. আবুল খায়ের ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন। নারী শ্রেণীতে ঢাকার হোসনে আরা হোসেন, লায়লা হোসেন, পারভীন হাসান, রাজশাহীর বুলা চৌধুরী এবং রংপুরের নিশাত ফারজানা চৌধুরী, তরুণ শ্রেণীতে ঢাকার নাফিস সিকদার, গাজী গোলাম মর্তুজা, মো. শাহনেওয়াজ, সিলেটের একেএম আতাউল করিম ও চট্টগ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন। প্রতিবন্ধী শ্রেণীতে ঢাকার আকরাম মাহমুদ, সিলেটের মো. মামুনুর রশিদ ও মো. কুমিল্লার জহিরুল ইসলাম কার্ড পেয়েছেন।
>ট্যাক্স কার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ব্যক্তিপর্যায়ে ৭৬ জন, কোম্পানি পর্যায়ে ৫৫টি প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ১০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যক্তি শ্রেণির ৭৬টির মধ্যে সিনিয়র সিটিজেন ৫, গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা ৫, প্রতিবন্ধী ৩, মহিলা ৫, তরুণ ৫, ব্যবসায়ী ৫, বেতনভোগী ৫, চিকিৎসক ৫, সাংবাদিক ৫, আইনজীবী ৫, প্রকৌশলী ৩, স্থপতি ৩, একাউন্ট্যান্ট ৩, নতুন করদাতা ৭, খেলোয়াড ৩, অভিনেতা-অভিনেত্রী ৩, শিল্পী ৩ ও অন্যান্য ৩ জন।
কোম্পানি পর্যায়ে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংকিং ৬, অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৪, টেলিকমিউনিকেশন ১, প্রকৌশল ৩, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ৩, জ্বালানি ৩, পাট শিল্প ৩, স্পিনিং ও টেক্সাটাইল ৭, ঔষধ ও রসায়ন ৪, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক ৪, রিয়েল এস্টেট ৩, তৈরি পোশাক ৭, চামড়া শিল্প ৩, অন্যান্য ৪।
অন্যান্য করদাতা পর্যায়ে ১০টি ট্যাক্স কার্ড হল-ফার্ম ৪, ব্যক্তি সংঘ ও অন্যান্য ৪টি।
অনুষ্ঠানে ট্যাক্স কার্ড ও কর বাহাদুর পরিবার ছাড়াও ১৩ জন সাংবাদিককে ‘এনবিআর সেরা রিপোর্টার এ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। এছাড়া ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ এবং ‘জনকল্যাণে রাজস্ব’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১২ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ব্যবসায়ী শ্রেণীতে ঢাকার মো. কাউছ মিয়া, আবদুল কাদির মোল্লা, খন্দকার বদরুল হাসান, কামরুল আশরাফ খান ও চট্টগ্রামের মোহাম্মদ কামাল ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন। চিকিৎসক শ্রেণীতে একেএম ফজলুল হক, প্রাণ গোপাল দত্ত, জাহাঙ্গীর কবির, এনএএম মোমেনুজ্জামান ও মো. আবদুল মোবিন খান, আইনজীবী শ্রেণীতে শেখ ফজলে নূর তাপস, মাহবুবে আলম, আহসানুল করিম, কাজী মুহাম্মদ তানজীবুল আলম ও মুহাম্মদ কবির উজ্জামান ইয়াকুব, খেলোয়াড় শ্রেণীতে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল খান, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান, অভিনয় শিল্পী শ্রেণীতে মেহের আফরোজ শাওন, শাকিব খান ও জাহিদ হাসান, সংগীতশিল্পী শ্রেণীতে রুনা লায়লা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও এসডি রুবেল, স্থপতি শ্রেণীতে মো. রফিক আজম, মো. ইকবাল হাবিব ও এনামুল করিম নির্ঝর ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন।
কোম্পানি পর্যায়ে ট্যাক্স কার্ড দেয়া হয়েছে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকমিউনিকেশন, প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, জ্বালানি, পাট শিল্প, স্পিনিং ও টেক্সটাইল, ওষুধ ও রসায়ন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, আবাসন খাত, তৈরি পোশাক খাত, চামড়া শিল্প, ফার্ম, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তিসংঘ প্রভৃতি শ্রেণীতে মোট ৬৫টি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে। তরুণদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি বিবেচনা করে ৪০ বছরের কম বয়সী করদাতাদের মধ্যে পাঁচজনকে ট্যাক্স কার্ড দিয়েছে এনবিআর। মেলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সফল মেলা আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন কর অঞ্চল এবং স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।
পরিবারের করযোগ্য আয় করা সব সদস্য দীর্ঘদিন ধরে আয়কর পরিশোধ করছেন, এমন ৮৪টি পরিবারকে কর বাহাদুর সম্মাননা দেয়া হয়েছে। কর বাহাদুর পরিবারের মধ্যে ঢাকার ১৬টি পরিবার, চট্টগ্রামে আটটি ও অন্যান্য জেলার ৬০টি পরিবারকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, ট্যাক্স কার্ড ও কর বাহাদুর পরিবারের সম্মাননা ও পুরস্কার এক বছরের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ট্যাক্স কার্ডধারীরা সরকারের বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। যেকোনো ভ্রমণে সড়ক, বিমান বা জলপথে টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা অগ্রাধিকার পাবেন। স্ত্রী-স্বামী বা নির্ভরশীল সন্তানরা চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেবিন সুবিধা পাবেন। এছাড়া বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার ও তারকা হোটেলসহ সব আবাসিক হোটেলে বুকিং পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন তারা।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক, এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
করদাতাদের দেওয়া আয়কর দেশের কোন কোন উন্নয়নে কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিষয়টি জানানোর বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে এবার এনবিআর মেগা প্রকল্প, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিলবোর্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
এবারের আয়কর মেলার আকর্ষণ ছিল ‘ইনকাম ট্যাক্স কার্ড আইডি
আয়কর মেলায় প্রথমবারের মতো করদাতাদের ‘ইনকাম ট্যাক্স আইডি কার্ড’ প্রদান করা হয়। এ কার্ড এনবিআরের প্রথমবারের উদ্ভাবন। করদাতারা এ কার্ড নিতে অভূতপূর্ব সাড়া প্রদান করেছেন। মেলায় সুশৃঙ্খলভাবে হাজার হাজার করদাতা লাইনে দাঁড়িয়ে এ কার্ড সংগ্রহ করে। মেলায় ২০টি বুথে এসব কার্ড প্রদান করা হয়। প্রতি কার্ড প্রিন্ট হতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় লেগেছে। এবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে প্রথমবারের মতো এ কার্ড প্রদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে করদাতাদের এ কার্ড প্রদান করা হবে। এ কার্ডের মাধ্যমে করদাতাগণ সরকারি সেবায় অগ্রাধিকার পাবেন। এবার মেলায় সাধারণ করদাতাদের পাশাপাশি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, ব্যবসায়ী, আইটি বিশেষজ্ঞসহ বিশেষ ব্যক্তিদের ইনকাম ট্যাক্স আইডি কার্ড প্রদান করা হয়। এমন ডিজিটাল কার্ড প্রদান করায় তারা এনবিআরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
মেলায় কর শিক্ষণ ফোরামে ব্যাপক সাড়া
ভবিষ্যত করদাতা সৃষ্টি ও শিক্ষার্থীদের কর বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে মেলায় দ্বিতীয়বারের মতো সংযোজিত হওয়া কর শিক্ষণ ফোরামের আওতায় শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন মেলা পরিদর্শন, কর বিষয়ে ধারণা লাভ, কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হওয়া ও নেতৃত্ব লাভের শিক্ষা নেন। কর শিক্ষণ ফোরামে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীরা মেলা পরিদর্শন এবং কর বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন। পরে শিক্ষাথীদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় প্রতিদিন ১০ জন করে শিক্ষার্থীকে সনদপত্র, পুরস্কার ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
কষ্টার্জিত অর্থ কর বাবদ রাষ্ট্রকে প্রদানের বিপরীতে সেবাপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা চেয়েছেন শীর্ষ করদাতারা। তারা মনে করেন, সামর্থ্যবান সব মানুষের আয়কর প্রদান করা কর্তব্য। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শীর্ষস্থান অধিকারী করদাতারা সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘জাতীয় ট্যাক্স কার্ড’ পাওয়ার পর এসব মন্তব্য করেন।
আজকের বাজার : সালি / ১৫ নভেম্বর ২০১৭