শেষ হলো এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে নিজেদের শিল্পকর্মকে ছড়িয়ে দিয়েছে। এবারের প্রদর্শনী আরো বেশি সফলতা এনে দিলো। ৬৮টি দেশের চার শতাধিক শিল্পকর্ম এবারের প্রদশর্নীতে প্রদর্শিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের তরুণ শিল্পীদের শক্তির পরিচয় পেয়েছি এই আয়োজনে। প্রবীনদের পাশাপশি নবীনরাও ভবিষ্যতের জন্য তৈরী হচ্ছে। এটিই আমাদের বিশেষ অর্জন। নাম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী হলেও, ৬৮টি দেশের অংশগ্রহণই প্রমাণ করে আমরা সারাবিশ্বে এটিকে ছড়িতে দিতে পেরেছি। আমরা সবাই শিল্পের সঙ্গে থাকব এটিই প্রত্যাশা করি।

মন্ত্রী ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এই বক্তব্য রাখেন। গতাকল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংষ্কৃতি বিয়ষক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসির উদ্দিন আহমেদ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মিলনায়তনের সামনে শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পী, যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন। এরপর মিলনায়তনে ‘মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল সবার’ গানের সঙ্গে একাডেমির শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশননার মধ্যদিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

সভাপতির ভাষনে সচিব বলেন পুরো সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে শিল্পকলা একাডেমি উৎসবমূখর ছিলো। তবে ১৮তম এশীয় দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী শেষ হলেও অক্টোবর থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে আরো ব্যাপক কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। আশাকরি শিল্পকলা একাডেমিতে সবসময় বৈতিত্র্যপূর্ণ আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকবে।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আজকের দিনটি একদিকে যেমন আনন্দের অন্যদিকে বেদনার। তবে আমরা স্বপ্ন দেখছি আগামী ১৯তম আসর আরো বড় পরিসরে করতে পারবো। তিনি আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শিল্পী, অতিথি, আয়োজক ও কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানান।

গত ১ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মাসব্যাপী এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ৬৮ দেশের চারুশিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। দেশী-বিদেশী শিল্পীদের মোট ৩৬৮টি পেইন্টিং, প্রিন্ট ও ফটোগ্রাফি; ৩৩টি ভাস্কর্য; ৫২টি ইনস্টলেশন আর্ট এবং ৩০ জন পারফর্মেন্স আর্টিস্ট-এর শিল্পনৈপুণ্য প্রদর্শিত হয়। ১২ জন বাংলাদেশী নবীন শিল্পীর অংশগ্রহণে এবং শিল্পী বিশ্বজিৎ গোস্বামীর তত্ত্বাবধানে ‘ইয়াং আর্ট প্রজেক্ট’ ছিল বিশেষ আকর্ষণ। ৪৬৫জন শিল্পীর ৫৮৩টি শিল্পকর্মের এ বিশাল শিল্পযজ্ঞে অন্তর্ভুক্ত ছিল আন্তর্জাতিক সেমিনার, পেইন্টিং, ভাস্কর্য, আলোকচিত্র, প্রাচ্যকলা, প্রিন্ট মেকিং, ভিডিও আর্ট, মৃৎশিল্প, পারফর্মেন্স আর্ট, নিউ মিডিয়া এবং স্থাপনা শিল্প।

আজকের বাজার/এএল