সংলাপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ইইউ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংলাপ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। সংলাপের প্রথম পর্বে নয়া জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

সংলাপে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন।

আর এই সংলাপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ডয়েচে ভেলে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান বাংলাদেশে ইইউ’র হেড অব ডেলিগেশন রেন্সজে তেরিংক।

নির্বাচনে ইইউর পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর বিষয়টিও আবারও নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে একজন দর্শক হিসেবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন। প্রত্যেক পক্ষেরই তাদের নিজস্ব বক্তব্য থাকে। কিন্তু আমার কাছে যেটা ইতিবাচক মনে হয়েছে, সেটা হলো বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে ১ নভেম্বর সংলাপে বসছে সরকার। এটা অনেক ভালো একটি অগ্রগতি। এই সংলাপকে আমরা স্বাগত জানাই।’

রেন্সজে তেরিংক আরও বলেন, ‘এক বছর হলো আমি বাংলাদেশে এসেছি। তখন থেকেই নির্বাচনের কথা শুনছি। শুনেছি বিক্ষোভ হবে। প্রতিবাদ হবে। সেই নির্বাচনের সময় এসে গেছে। আমরা নির্বাচনকে স্বাগত জানাই। আশা করি এবং বিশ্বাস করি বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটি কার্যকর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানো বড় কাজ। এতে অনেক সদস্য থাকেন। প্রস্তুতি নিতে মাসের পর মাস সময় লাগে। কিন্তু এটা এবার বাংলাদেশের জন্য আমাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। তবে এর মানে এই নয় যে আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছি না। আমাদের দুজন প্রতিনিধি থাকবেন, তারা দেখবেন’।

উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ড. কামাল হোসেন সংলাপের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের অংশ হিসেবে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারার সঙ্গে শুক্রবার ও সোমবার বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ হয়েছে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটকেও আলোচনার টেবিলে পেতে সংলাপের জন্য চিঠি পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে জোটের সমন্বয়কে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বুধবার (৩১ অক্টোবর) ফোন করা হয়েছে। এছাড়া সরকার বা দলগুলোর প্রত্যাশ্যায় আরও একাধিক দলের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা রয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ